নড়াইলের খাল-বিলের পানিতে শামুক বিলুপ্তির পথে
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২৫
নড়াইলের খাল-বিলের পানিতে শামুক বিলুপ্তির পথে
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নড়াইলের তিনটি উপজেলার অসংখ্য খাল-বিলের পানিতে শামুক এখন বিলুপ্তির পথে। এক সময় খাল-বিল ও জলাশয়ের পানিতে শামুক চোখে পড়লেও এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় শামুকের ভূমিকা অপরিসীম।


মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) সকালে দেখা যায় লোহাগড়া উপজেলা জয়পুর রোড়ের পাশে মাছের ঘের মালিক ও মৎস্য চাষীরা মাছের খাবার হিসেবে শামুক ব্যবহার করছে। তবে বিলুপ্তির পথে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রাণিটি। একশ্রেণীর লোকজন শামুক বিক্রি করে লাভের আশায় বিল থেকে অবাধে শামুক সংগ্রহ করে তা মৎস্য ঘের মালিক ও মৎস্য চাষীদের কাছে বিক্রি করে থাকে।


নড়াইল সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যোতি বিশ্বাস জানায়, পড়া লেখার পাশাপাশি সে বর্ষার মৌসুমে প্রতিদিন সকালে বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে দুইশত থেকে তিনশত টাকা বিক্রি করে থাকে।


কালিয়া উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর কালু মিয়া শেখ জানান, সংসার চালানোর জন্য তিনি খাল-বিলের পানি থেকে শামুক সংগ্রহ করে মৎস্য চাষীদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এতে তার প্রতিদিন প্রায় পাঁচশত টাকা আয় হয়ে থাকে। যা দিয়ে তিনি সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন।


নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ.এম বদরুজ্জামান জানান, মাছের খাদ্য হিসেবে শামুকের ব্যবহার কে আমরা নিরুৎসাহিত করে থাকি মৎস্য চাষীদের। কারণ কাঁচা শামুক খাওয়ানোর ফলে মাছের শরীরে রোগ জীবাণুর এবং গ্যাসের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ওই মাছ খেলে মানুষের শরীরেও নানা রোগজীবাণু ছড়ায়। শামুক মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। খাল-বিলে বেশি পরিমাণ শামুকের বিচরণ থাকার কারণে পানি ও মাটির উর্বরতা বাড়ে এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। শামুক মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য ঘের মালিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।


বিবার্তা/শরিফুল/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com