পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনের বিরুদ্ধে জমি দখল, হামলা, মামলা ও দুর্নীতি করা সহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ।

৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের শেরেবাংলা পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তারই ধারাবাহিকতায় অন্যায়ভাবে মানুষের জমি দখল ও চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন। চেয়ারম্যানের এমন দুর্নীতির জাঁতাকলে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

এসময় বক্তব্য দেন, ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ, আবু তাহের, সায়েদা বেগম, আমেনা বেগম ও সালমা আক্তার।

আব্দুল হামিদ অভিযোগ করে আরো বলেন, মিলন চেয়ারম্যানের দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের দোকানপাট ভেঙে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মাদক মামলাসহ নানা মামলা দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি করা হয়েছে। তার একটি লাঠিয়াল গুন্ডা বাহিনী আছে। তাদের নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করছে। বন্দর থেকে শুরু করে পুরো ইউনিয়নে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে তার কারণে। এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ করেছি তার বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। প্রশাসন টাকা খেয়ে কাজ করছে। আমি নতুন সরকারের মাধ্যমে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভুক্তভোগীরা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকার বরাবর বিচার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে তারা। একই সাথে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই-খুদা মিলন বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মূলত তাকে ফাঁসাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি

বিবার্তা/গোফরান/জবা