
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পানিতে নিমজ্জিত থাকা একটি ওয়ার্ডের প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। এর বিপরীতে ত্রাণ সহায়তা মিলেছে মাত্র ৪০টি পরিবারের। বন্যা শুরুর আগে ও গেলো দুই দিন আগে মিলে দুই দফায় এই সহায়তা পেয়েছেন।
উপজেলা রমনা মডেল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হরিণেরবন, সোনারী পাড়ায় পানিতে নিমজ্জিত এখনো রাস্তাঘাট। পানি কমলে এখনো পানির নিচে অধিকাংশ পরিবার। ওই ওয়ার্ডে ৪ থেকে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বেশি মানুষ বসতি গড়ে তুলেছেন।
সরেজমিনে ওই ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় এখনো হাঁটু পানি। আবার কোথাও কোথাও কোমর সমান পানি। পানি কমলেও এখনো ওই এলাকায় বেশিরভাগই বসতবাড়ি পানিবন্দি। গত পাঁচ-ছয় দিন ধরে ওই এলাকায় পানিতে ভাসছেন ৪ শতাধিক পরিবার। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমলেও ওই এলাকায় থেকে পানি ধীর গতিতে কমছে। এমতাবস্থায় আরও সপ্তাহ খানেক ওই এলাকায় পানি থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই দফায় ওই ওয়ার্ডে মাত্র ৪০ টি পরিবার পেয়েছেন ত্রাণ সহায়তা। বিষয়টি জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
ওই এলাকার রিনা, আনিচা, রহিমা,মর্জিনা বেগমসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, পাঁচ-ছয়দিন থেকে বাড়ি ঘরে পানি। ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতে হয়৷ রান্না করে খাওয়ার সমস্যা। বাড়িতে পানি, ঘরে পানি। মেম্বার শুধু খোঁজ নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সহায়তা পাই নাই। রাস্তাঘাটে পানির জন্য কোথাও বের হওয়া যায় না। ঘরে বাইরে সবখানে পানি। তারা আরও বলেন, এই পানি কমতে কমতে আরও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে৷
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার এই ওয়ার্ডে পানিবন্দি প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। দুই দফায় ৪০ টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা করেছি, যা কিছুই না। আপনারা সকলে এসে সরেজমিনে দেখে যান এই এলাকার মানুষ কি অবস্থায় আছেন? এই মানুষগুলোর প্রতিদিন খোঁজ খবর নিচ্ছি কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ায় আমি তাদের কোনো ত্রাণ সহায়তা দিতে পারছি না।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ওই এলাকায় জরুরি ভাবে আজ বিকেলে ৫০ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
বিবার্তা/রাফি/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]