
রাজধানীর মিরপুরে কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির (বিজ্ঞান বিভাগ) শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
৬ জুলাই, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্মাস কলেজের পাশে হাউজিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোয়াটারে এ ঘটনা ঘটে।
শাহআলী থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে কমার্স কলেজের পাশে কলেজের এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা কমার্স কলেজের পাশের একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের শত্রুতার জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাজিন চৌধুরী পলাতক। ঘটনাস্থলে সবাই আছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত শিক্ষার্থীর মামা নুরুজ্জামান বলেন, সকালে কোচিংয়ের জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে আর ঘরে ফেরেনি জুবায়ের। সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি আমার ভাগিনা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুদের সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেয়। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তারা বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।
সহপাঠীর হাতে জুবায়েরের হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে হত্যার ঘটনা জানলেও কারণ জানেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ। তিনি বলেন, ঘটনা জানার পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। তবে তারাও হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেননি।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম জুবায়ের হাসান রাফিত। তার গ্রামের বাড়ির নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবার নাম আবুল বাসার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাফিত ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো সে।
অভিযুক্ত রাজিন চৌধুরীর বাবার নাম ইকবাল চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। রাজিনের মা ঢাকার বাইরের একটি কলেজের শিক্ষিকা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]