
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা ডুবে যাচ্ছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে ব্যাপক হারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার ১৫০ হেক্টর পাটক্ষেত, আউশ ধান ২০ হেক্টর ও আমন ধানের বীজতলা ২৫ হেক্টরসহ শাকসবজি ক্ষেত প্রায় ২০ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার অষ্টমীর চর, নয়ারহাট ,চিলমারী ইউনিয়ন, গুরাতি পাড়া, পুটিমারী, হাটিথানা, রমনা মাঝিপাড়া, খোর্দবাশপাতারী, গয়নারপটলসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় এ উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব পানি বন্দী মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
অপর দিকে পানি বাড়ায় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে ব্যাপক হারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের প্রায় ২০০ পরিবার গৃহহীন হয়েছেন। তবে নদী থেকে বালু উত্তোলনকেই দায়ী করছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত ইউনিয়নগুলোতে ২ মে. টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি।
বিবার্তা/রাফি /মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]