ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর পুনরায় চালু ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। বুধবার (১২ জুন) বেলা ১১টায় শহরের চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন করেন তারা।

ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার। বর্তমানে যানজটের কারণে বাসে যেতে সময় লাগে ১৩ ঘণ্টা। এতে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়। অন্যদিকে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটির জায়গা সংরক্ষনে প্রাচীর নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে এখন বিমানবন্দরটি চালু করা জরুরি হয়ে পরেছে। আর এ বন্দরটি চালু হলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা পালন করবে। সেই সাথে ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বেশকয়েকটি দেশ ব্যবসা বাণিজ্যে ভুমিকা রাখবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। উত্তরের এ জেলায় বিমান বন্দরটি চালু হয়ে আশপাশের কয়েকটি জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুফল পাবে।

এছাড়া বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৬-৭শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। গড়ে ভর্তি থাকছে প্রায় চারশ রোগী তাই এ জেলায় একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

রোগির চাপে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমসিম খাচ্ছে। ফলে উপায় না পেয়ে সামান্য জটিলতা রোগীকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন রংপুর কিংবা দিনাজপুরে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা।

বাস্তবতা বিবেচনায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করায় এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়ে পরেছে। আমরা চাই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন সরকার।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ একাত্বতা প্রকাশ করেন। আওয়াজ তোলেন বিমানবন্দর চালু ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের।

বিবার্তা/মিলন/এসবি