
চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হিজড়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেছেন, ইতোমধ্যে ডিএমপির আটটি বিভাগে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলেও তাতে যুক্ত হচ্ছে না। তাদেরকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
৩ জুন, সোমবার মগবাজারের রমনা ডিসি অফিসে হিজড়াদের হামলার শিকার হয়ে পুলিশ সদস্যরে চোখ হারানোর ঘটনায় রহস্য উম্মোচন ও চারজনকে গ্রেফতার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপকমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, হিজড়াদের হামলার শিকার হয়ে পুলিশ সদস্য এসআই মোজাহিদুল ইসলাম চোখ হারানোর ঘটনায় জড়িত চারজন হিজড়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদেরও আটক করা হবে তারা প্রকৃত হিজড়া কিনা মেডিকেলের মাধ্যামে চাই করা করা হবে।
তিনি জানান, গত শুক্রবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে মগবাজার রেলগেইট থেকে আসামী তানিয়া (১৯), তন্নী ওরফে তিথী (২১), কেয়া (২০) ও সাথী (২২) আটক করা হয়। এছাড়াও রোববার জুন অন্যএক পলাতক আসামী সাথী ওরফে পাভেলকেও (২০) গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে টহল দিচ্ছিল এসআই আনোয়ারুল ইসলাম ও এসআই মোজাহিদুল ইসলামসহ কিছু পুলিশ সদস্য। পরীবাগ ফুটওভার ব্রীজের কাছে রিক্সাচালক ও পথচারীর চিৎকার শুনে অফিসারগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হিজড়ারা মানুষের গতিরোধ করে টাকা ও মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা প্রদান করে। এতে করে পুলিশদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন ও ইট-পটকেল নিক্ষেপ করে। পাথরের আঘাতে এসআই মোজাহিদুল ইসলামের ডান চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকগণ প্রথমে রাজারবাগ সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]