সরকারি চাকুরে হয়েও পুনরায় উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক!
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ১৯:৩১
সরকারি চাকুরে হয়েও পুনরায় উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারি চাকরিজীবী রাসেল খান পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ১০ বছর পর গঠিত যুবলীগের কমিটিতে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সরকারি চাকরিজীবী রাসেল খানকে। তিনি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে একযুগ ধরে কর্মরত আছেন। এর আগেও যুবলীগের একই পদে ছিলেন তিনি।


সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে যে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।


নয়া কমিটিতে মো. রফিকুল ইসলামকে সভাপতি, মুখলেসুর রহমানকে সহ-সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল খানকে আবারও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রাসেল খান বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।


যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। সে সময় সম্মেলনে সরকারি চাকরিজীবী রাসেল খানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তখন রাসেল খানের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন পদবঞ্চিতরা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।


উপজেলা যুবলীগের দু’জন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চাকরির পাশাপাশি সরাসরি ক্ষমতাসীন দলের দলীয় পদে থাকলেও দলের সংশ্লিষ্ট দফতর এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।


অভিযোগের বিষয়ে রাসেল খান বলেন, ‘আমি আবারও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের দোয়ায় রাজনীতি করে যাচ্ছি।’ সরকারি চাকরির পাশাপাশি রাজনীতিসহ দুটি কাজ কীভাবে একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি শহরে আসছি। এক ঘণ্টার মধ্যে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবো।' এই বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।


জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, ‘যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবী কেউ যদি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চান- সেখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সরকারি দফতরের কোনো বিধিনিষেধ আছে কি না, সেটি আমার জানা নেই।’


জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে সরাসরি রাজনীতি দলের কোনো পদ-পদবিতে থাকা যায় না। তার (রাসেল খান) বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’


বিবার্তা/আকঞ্জি/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com