
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ফজর নামাজ পর ঢাকা থেকে আগত তবলিগ জামাতের দায়িত্বশীল মেহমানগণের মধ্যে ভারত থেকে আগত মাও. মুরুব্বি মো. হেদায়েত হোসেন খান-এর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে জেলা আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা তবলিগ জামাতের উদ্যোগে তিন দিনের এবারের জেলা ইজতেমা পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউপি’র মাঠের বাজার এলাকার ইটভাটা চত্বরের বিস্তীর্ণ ফসলের খালি মাঠ জুড়ে শুরু হয়েছে।
এতে গাইবান্ধা জেলা এলাকা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সমূহ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া ও উগান্ডা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে এসে সমবেত হয়েছেন।
ইজতেমায় তবলিগ জামাতের মুরুব্বিরাও অংশগ্রহণ করছেন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
তিনদিনের ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান-ধর্মীয় শিষ্টাচারের আলোকে দেশ-জাতির উন্নতি-অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি,শান্তি ও ঐক্যসহ বিশ্ব মানবতার মুক্তি কামনায় বয়ান পেশ করবেন ঢাকা থেকে আগত ভারত থেকে আগত মাও. মুরুব্বি মো. হেদায়েত হোসেন খান, মুরুব্বি ঢাকা থেকে আগত মুফতি মাও. আজিমুদ্দিন ও মুফতি মাও. আজিজসহ অন্যান্যরা।
গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসান জানান, ইজতেমা মাঠ এলাকাজুড়ে বিশাল সামিয়ানায় সমবেত মুসল্লিদের থাকার ব্যবস্থাসহ অস্থায়ী টয়লেট, অজু ও গোসলের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমাস্থল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিরাপদ-নির্বিঘ্নসহ সুষ্ঠু পরিবেশে জেলা পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠের চতুর্দিক পুলিশি নিরাপত্তায় কন্ট্রোলরুমসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠের সর্বশেষ প্রস্তুতি বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ পরবর্তী আম বয়ানের মধ্যদিয়ে তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা শুরু হয়েছে। সর্বোচ্চ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ইতোমধ্যেই ইজতেমায় তিনস্তরের বিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান বলেন, দ্বিতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত জেলা ইজতেমায় বিপুলসংখ্যক মুসল্লির পদচারণা ঘটবে। ইজতেমাকে সফল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার মুসল্লিরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা এবং বিদেশ থেকেও মুসল্লিরা অংশ নিবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে বুধবার জেলা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন, ইজতেমা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান ছাড়াও দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/আ.খালেক/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]