
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে জেলার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাহিরে বের হচ্ছেন না। জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কনকনে ঠান্ডায় স্কুলে যাচ্ছেন কোমল মতি শিক্ষার্থীরা। তবে জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছেন দ্রুত বন্ধের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কুড়িগ্রাম আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নুর তাসনিম বলেন, খুব ঠান্ডায় স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে।
শিশু নিকেতন কুড়িগ্রামের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রচুর শীত আর ঠান্ডা। ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না। এত ঠান্ডা স্কুলে যেতে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। ক্লাস করতে আমাদের কষ্ট তো হবেই।
অভিভাবক খ. ম. মো. আতাউড় রহমান বিপ্লব বলেন, জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অথচ খবরে দেখলাম কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে। এমন আবহাওয়ায় বিদ্যালয় বন্ধ দেয়া উচিত। এটা না করলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়বে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করছি। রাজারহাট আবহাওয়া অধিদফতরের লোক পাঠানো হয়েছে। ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত হলে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিবার্তা/বিপ্লব/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]