
শহরে যানজট কমানোসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণ করা হয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। কিন্তু নির্মাণের পর উদ্বোধন হলেও দেড় যুগের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে বাস টার্মিনালটি। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে পাঁচ বিঘা জমির ওপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় এটি। তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া টার্মিনালটির উদ্বোধন করেন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার খুলে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোর ও বসার স্থানসহ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে- অথচ রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রী উঠানামা করতে হয় এখনো। দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না হওয়ায় ভবনের ভেতর নেশাখোর ও ভবঘুরেদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস পার্কিংয়ে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় সবাই।
১৭ জানুয়ারি, সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি মানবশূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চারপাশ। ভেঙে পড়ছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বাস থাকলেও তা বিকল। দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা ওঠানামা করছে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে।
স্থানীয়রা জানান, টার্মিনাল থাকার সত্ত্বেও পরিবহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও টার্মিনালটি চালু না হওয়ার পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাই দায়ী বলে মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে, কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা নিয়মিত কাজে ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। টার্মিনালে বাস না থাকায় তাদের দীর্ঘ সময় সড়কের পাশে চায়ের টঙে অপেক্ষা করতে হয়। সরকার এত টাকা দিয়ে টার্মিনাল তৈরি করে দিয়েছে তা এখন মাদকসেবীদের আখড়া হয়েছে। তাদের আশা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
টার্মিনালটি সচলের বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতারা কথা বলতে রাজি না হলেও উপজেলা প্রশাসন জানালেন ব্যবস্থা নেয়ার কথা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বিবার্তাকে জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি যাতে দ্রুত চালু করতে সংশ্লিষ্ট বাস মালিক ও পৌরসভার সাথে আলোচনা করব- যাতে এটা ব্যবহৃত হয়। এবং সাধারণ মানুষ যেন সেবা পায়- সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।
বিবার্তা/মিলন/রোমেল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]