পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিনবারের মেয়াদকালে মোংলাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলসহ এমন কোন স্থান নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শীতায় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশ-বিদেশের শত ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে নিজ অর্থে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী উপহার দিয়েছেন পদ্মা সেতু।

২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বিকালে মোংলা হ্যালিপ্যাড মাঠে মোংলা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাগেরহাট-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এছাড়াও পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্র, দেশের সর্বদক্ষিণের সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন সহজ যোগাযোগসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়ক উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্রিজ, কালভার্ট, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাইক্লোন সেন্টার, বিদ্যালয় ভবন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ, হাট-বাজার উন্নয়ন, ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মডেল মসজিদ নির্মাণসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে মোংলাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল।

তিনি বলেন, দেশে হয়ত আরো অনেক প্রধানমন্ত্রী আসবে ও যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার মতো সাহসী এবং উন্নয়ন নিয়ে স্বপ্ন দেখা প্রধানমন্ত্রীকে একবার হারালে আর পাওয়া যাবেনা।

মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোল্লা আব্দুর রউফ, এ্যাড এ.কে আজাদ টিপু, দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায়, প্রচার সম্পাদক নাজমুল কবির ঝিলাম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল বাকী তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শেখ কামরুজ্জামান জসিম, মোংলা উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়নের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিবার্তা/জাহিদ/এমজে