
গতকালের তুলনায় কুয়াশার আধিক্য কম থাকলেও উত্তরদিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসের কারণে আজও কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। এক দিনের ব্যবধানে কমেছে তাপমাত্রা।
কনকনে ঠান্ডা জনজীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচে বেশি বিপাকে পড়েছে নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সড়কে যান চলাচলেও ব্যঘাত ঘটছে। এ আবহাওয়া জেলাজুড়ে শীতজনিত রোগের প্রাদূর্ভাব বেড়েছে।
ভ্যান চালক জব্বার মিয়া বলেন, ভ্যান চালানোর সময় হাত মনে হচ্ছে বরফ হয়ে গেল। খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাড়া মারতে পারছিনা ঠিকমতো। কিন্তু যত শীত পড়ুক না কেন পেটের তাগিদে বের হতেই হবে।
দিনমজুর হাফিজুল বলেন, এলাকায় হাড় কাপানো শীত পড়ছে। ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে খোলা মাঠে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭শতাংশ। আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারি ) সকাল ৯ টা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তারা বলছেন, আরও অন্তত এক সপ্তাহ ঘণ কুয়াশা থাকবে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে যাবে। শীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]