চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বারাদি সীমান্তে গুলি করে হত্যার ১২ দিন পার হলেও সাজিদুল ও মাইনুদ্দিনের মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আইনি জটিলতায় শেষ পর্যন্ত বিএসএফ মরদেহ দুটি ফেরত না দিয়ে পুনরায় ভারতে নিয়ে চলে যায়।
নিহত সাজিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ও খাজা মঈনউদ্দিন (৩২) একই এলাকার শরীয়তউল্লাহর ছেলে।
বিজিবি জানায়, ঘটনার পরপরই লাশ ফেরত চেয়ে আমরা বিএসএফকে পত্র দেই। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি বিএসএফ। দীর্ঘ ১২ দিন পর তারা লাশ দুটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বিজিবিকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রন জানায়। বিএসএফের পতাকা বৈঠক আমন্ত্রনে সাড়া দিলে বুধবার বিকালে বাংলাদেশের বাড়াদী-ভারতের গোবিন্দপুর সীমান্তের ৮২/২ এস মেইন পিলার সংলগ্ন শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে ভেস্তে যাওয়ায় লাশ পুনরায় ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার রাতে সাজিদুল ও মঈনউদ্দিন বাড়াদি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে যায়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮২ নম্বর মেইন পিলারের কাছাকাছি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন বিজয়পুর এলাকায় পৌঁছলে বিজয়পুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুড়লে তারা দুইজন নিহত হয়।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]