ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গৌতম কুমার বিশ্বাস (৪০) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।

নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা শনিবার ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার সকালে থানায় মামলা করলে দুপুরের মধ্যেই ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধর্ষক গৌতম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ি গ্রামের মৃত কানাই লাল বিশ্বাসের ছেলে। তবে তিনি ব্যবসার সুবাদে বোয়ালমারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন এবং পৌর বাজারের একজন জুয়েলারী ব্যবসায়ী।

১৬ ডিসেম্বর, শনিবার বিকেলে ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসদরের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীর মা-বাবার সাথে সুসম্পর্কের সুযোগে বোয়ালমারী বাজারের খাদ্য গুদাম সংলগ্ন বাসায় যাতায়াত করতো বোয়ালমারী পৌর বাজারের জুয়েলারী ব্যবসায়ী গৌতম বিশ্বাস। গত মঙ্গলবার ছাত্রীর মা-বাবা বাসায় না থাকায় গৌতম ওই ছাত্রীকে শপিং করে দেওয়ার কথা বলে ফরিদপুর জেলা সদরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে ঘটনাটি খুলে বললে ছাত্রীর বাবা শনিবার সকালে বোয়ালমারী থানায় গৌতমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শেখ সাদিক বলেন, মামলার পরপরই ধর্ষককে পৌর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাকে আদালতেও নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আসামি ওই ছাত্রীকে ফরিদপুর কোথায় কোথায় নিয়ে গিয়েছিল সেসব বিষয় তদন্ত শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

বিবার্তা/মিলু/জবা