চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র আঘাতে ৬১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৫২
চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র আঘাতে ৬১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র আঘাতে চাঁদপুর জেলার ১৯০ হেক্টর আধাপাকা ও পাকা আমন ধান এবং ৪২০ হেক্টর অন্যান্য ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।


সরেজমিনে দেখা গেছে- জেলা সদরের বাগাদী ইউনিয়নের ছোবহানপুর, বাগাদী গ্রাম, নানুপুর, বালিয়া ইউনিয়নের সাপদি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদি রামপুর ও আশপাশের এলাকায় আমন ধানের অধিকাংশ জমি পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে।


ছোবহানপুর ও বাগাদী গ্রামের জমিগুলোতে কৃষকরা পাকা ধান দু-দিন আগে কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছেন। সেবসব জমিতে এখন হাটু সমান পানি। অনেক জমির পাকা ও আধাপাকা ধান বাতাসে নুয়ে পড়েছে। এসব এলাকার খাল ও নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই।


ছোবহানপুর মাঠে দু-দিন আগে কেটে রাখা ধান পানি থেকে তুলে আনছেন কৃষক মো. হাবিব। তিনি জানান, এ বছর তিনি পৌনে ৩ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অধিকাংশ জমি এখন পানির নিচে। প্রায় ১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন কী করবেন তিনি বুঝতে পারছেন না।


বাগাদী মাঠের কৃষক হাবিব বেপারী ও ওবাদ শেখ জানান, তাদের পুরো মাঠের অধিকাংশ জমির ধান হাঁটু সমান পানির নিচে। অনেকেই ধান কেটে শুকানোর জন্য দু’তিন দিন আগে রেখেছেন। চিন্তাও করতে পারেননি ঘূর্ণিঝড়ে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।


ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সকদিরামপুর মাঠে তার দেড় একর জমিতে বিআর-৪৯, বিনা-৭ ও ১৭ ধানের আবাদ করেছেন। আগে কেটে রাখা ধান শ্রমিক নিয়ে তুলছেন। পানিতে ভিজে যাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে গেছে।


ওই এলাকার আরেক কৃষক আব্দুল খালেক বেপারী জানালেন, প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে বিআর-২২ জাতের ধানের আবাদ করেছেন। এই ধানগুলো উচ্চতায় অনেক বড়। যার ফলে ঘুর্ণিঝড়ে বাতাসের তীব্রতায় সব ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে।


চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী আজ দুপুরে জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে জেলায় আধাপাকা ও পাকা রোপা আমান ১৯০ হেক্টর, সরিষা ১৪০ হেক্টর, আগাম শীতকালীন সবজি ২৭০ হেক্টর ও বীজতলা (ধান) ১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। জরিপ কার্যক্রম শেষ হলে পুরো আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com