গুরুদাসপুরে ভেজাল কীটনাশকে বাজার সয়লাব
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৩
গুরুদাসপুরে ভেজাল কীটনাশকে বাজার সয়লাব
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের গুরুদাসপুরে ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশকে বাজার সয়লাব। কৃষকরা মানহীন এসব কীটনাশক জমিতে দফায় দফায় প্রয়োগ করেও সুফল পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় কৃষক ফলন বিপর্যয়, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।


২৭ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে গুরুদাসপুর পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লার আনোয়ার হোসেন, আব্দুুর রহিম, ইয়াছিন আলী, মইনুল প্রাং,সাহাবুদ্দিনসহ অন্তত ১০জন কৃষক ব্যবহৃত নিম্নমানের কীটনাশকের বোতল ও মোড়ক হাতে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তারা ধানের পাতা মোড়ানো, মাজরা ও লেদাপোকা দমনে বারবার কীটনাশক প্রয়োগে প্রতারিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সুফল মিলছে না।


শুধু পোকা দমনই নয়, আগাছা পচানো কিংবা আগাছা পোড়ানোর কাছে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না বলেও দাবি তাদের। ভেজাল ও নিম্নমানের বীজ, সার ও কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।


কৃষক সাহাবুদ্দীন (৩৮) বলেন, কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে তিনি গণচীন থেকে আমদানি করা এসএএম অ্যাগ্রো ক্যামিক্যালের ইনডক্টিন, ভ্যালেন্ট টেক লিমিটেডের স্ট্রাইকার,সারা কেমিক্যালস্ এর নিডা, আলফা অ্যাগ্রো লি. এর কিরণ, গলফ্ সহ বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার মতো অনেক কৃষক এই সমস্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়সহ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছেন তারা।


মানহীন কীটনাশক প্রয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। রোপণের দুই সপ্তাহ পর থেকে পর্যায়ক্রমে তাকে অন্তত ৬ বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিবিঘায় একবার কীটনাশক প্রয়োগের জন্য তার খরচ হয় ৪৫০ থেকে ৫ শ টাকা। হিসাব মতে একবিঘা জমির ফসল ঘরে তুলতে তাকে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হবে। অথচ ভালো মানের কীটনাশক এক থেকে ২ বার ব্যবহার করলেই হতো। তার প্রশ্ন কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি ও ফলন বিপর্যয়ের দায় নেবে কে?


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ জানান, ভেজাল ও মানহীন কীটনাশক বিক্রি বন্ধে তাদের নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত আছে। যে কোনো সমস্যায় তিনি কৃষকদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিতে অনুরোধ করেছেন।


তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অভিযোগ করলে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/জনি/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com