দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দূর্গোৎসব। সারাদেশের মত দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। কাদামাটি, খড়, বাঁশ, কাঠ প্রতিমা তৈরির পর সবশেষ রং তুলির আঁচড় দিয়ে প্রতিমা সাজিয়ে পূজারীদের হাতে তুলে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবছর খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৩৫ টি মণ্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এবার হেমন্ত ঋতুতে অনুষ্ঠিত হবে। এই পূজা উদযাপন প্রস্তুতি ব্যাপক আগে থেকেই নিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে আনন্দ ভাটা পড়লেও পূজা উদযাপনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা।
জানা যায়, আগামী ২০অক্টোবর বোধন শেষে ষষ্ঠী পূজা এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। উপজেলার সকল পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কাজ করছে মণ্ডপ কমিটি। এই বছর দূর্গা ঘোড়াতে আসবে এবং ঘোড়াতে যাবে।
১৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার খানসামা উপজেলার কয়েকটি মণ্ডপ সরেজমিনে ঘুরে কাদা, মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে প্রতিমা তৈরি শেষ করেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। নিখুঁত ভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দূর্গা দেবীকে। প্রতিটি মণ্ডপে তৈরি করা হয়েছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি।
কয়েকজন প্রতিমা শিল্পী জানান, প্রতিমা গড়া শেষ হলে রঙতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে অবয়ব। ফুটিয়ে তোলা হবে নাক-চোখ-মুখ। ফুটে উঠবে সৌন্দর্য।
উপজেলার রামকলা এলাকার প্রতিমা শিল্পী রাজেন রায় বলেন, প্রতিমা তৈরি করা ধৈর্য্য ও কষ্টের কাজ। এখন তো জিনিসপত্রের দাম ও কারিগরদের মজুরি বেশি৷
তিনি আরো বলেন, প্রতিমা তৈরির মজুরি প্রতিমার সাইজ ও ধরণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এটি পূজারীদের চাহিদার উপর নির্ভর করে।
খানসামা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান দাস বলেন, সুষ্ঠুভাবে দূর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি যথাসময়ে শেষ করতে কাজ চলমান আছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসন, পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে পূজা উদযাপিত হয় সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্ততি নিয়েছে থানা পুলিশ। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নিরাপত্তায় প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন থাকবে। যেন পূজা মণ্ডপে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়।
ইউএনও মো.তাজউদ্দীন বলেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে ও আনন্দমুখর পরিবেশে দূর্গা পূজা উদযাপন করতে মণ্ডপ কমিটি, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে ও সংশ্লিষ্টদের সর্বদা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
বিবার্তা/জামান/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]