সরকারি জলাশয় দখল,ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১০
সরকারি জলাশয় দখল,ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শহরের ভিতর এবং বাহির অংশের সরকারি পুকুরের চারপাশ ও খালগুলো ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় বার বার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। অন্যদিকে এসব জলাশয় দখলে পানির স্রোত বন্ধ হয়ে শহরের বাহির এলাকায় তৈরী হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় ৩৬ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা জুড়ে ছোট-বড় ৩০টি সরকারি পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে চৌমুহনী বাজারের বড় মসজিদ পুকুর, দক্ষিণ বাজার রুপ ভারতীয় সিনেমা হল পুকুর, বড় পোল পুকুর, কুরিপাড়া পুকুরসহ সবগুলো পুকুরের চারপাশ ভরাট করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা। কেউ কেউ ৫ শতক জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করেছেন ২০ শতাংশ। আবার সেখানে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী স্থাপনা। পুকুরের পাশাপাশি চৌমুহনীর নোয়াখালী খাল, তুলাতলি খাল, ডেল্টা খাল ও ওয়াপদা খালের দু’পাশও দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে প্রায় বিলুপ্তির পথে চৌমুহনীর জলাশয়গুলো।
চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকা চৌমুহনী বাজারে বছরে দুই-তিন বার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের ভিতর ও পাশের সরকারি পুকুরগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ব্যবস্থাপনার সংকটে পড়েন। এতে সঠিক সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারায় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। চৌমুহনী বাজার এলাকায় পানির ব্যবস্থা সচল রাখতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি ব্যবসায়ীদের।


চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ জানালেন, ওয়ান-এলেভেন এর আগে চৌমুহনী পৌরসভার ৩৫টি পুকুর জেলা প্রশাসনের অধীনে নিয়ে গেছে। এতে এই পুকুরগুলো রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের কোন সুযোগ নাই। যার কারণে আমরা বৃহৎ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি।


দখলদারদের হাত থেকে চৌমুহনী পৌরসভার সরকারি পুকুর ও খালগুলো উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদ। তিনি বলেন, এই সরকারি পুকুর ও খালগুলো উদ্ধারের জন্য বহুবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি। আবারো চিঠি লিখবো, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে যেন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে পুকুর ও খালগুলো পুনঃসংস্কার করা হয়।


চৌমুহনী পৌরসভায় জলাশয় দখলের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, দখলকৃত জায়গাগুলির ব্যাপারে আমরা কেস নথি সৃজন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি। জেলা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদন হলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।


দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি পুকুর ও খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের।


বিবার্তা/সবুজ/এমজে


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com