কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে তানহা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকাল ৯টায় মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। তানহা দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া গ্রামের মোকলেস উদ্দিনের শিশু কন্যা।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পিযূস কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ওই শিশুকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পথে সকাল ৯টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্ষা (১৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলায়। এর আগে ২৯ আগস্ট ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার লালচাঁদ আলীর স্ত্রী। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু হলো।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৩০জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২ জন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১৫জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বিবার্তা/শরীফুল/সউদ