বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলাস্থ ঘাসিরদিয়া এলাকায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে। এতে বন্ধুদের আনন্দ ভ্রমন কান্নায় পরিণত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ঝালকাঠির রাজাপুর থানার আব্দুল গণি হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (৩৭), টাঙ্গাইলের দেলদোয়ার থানার মীর মোতাহার হোসেনের ছেলে সবুজ মিয়া (৩২), মির্জাপুরের আইয়ুব খানের ছেলে আল আমিন (২৭), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৪০), বরিশালের মুলাদী এলাকার মুজিবুর হাওলাদারের ছেলে আরিয়ান ওরফে রায়হান (২৫), জামালপুরের সরিষাবাড়ির দুদু মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (৩৭) এবং গাড়ি চালক মো. নাসির উদ্দিন।
মুমূর্ষু অবস্থায় আহত সাকিল মিয়া (২৮), পারভেজ (৩২), সোহেল মিয়া (৩০) ও মিঠুন (২৮)কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের ইটাখোলা ফাড়ির ইনচার্জ মো: কবির হোসেন ভূঞা বলেন, রাত ২টার দিকে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো চ-১৯-৮১৪০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থালে ৫ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো ২ জনসহ মোট ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হপাসপাতালে প্রেরন করা হয়ছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ট্রাকসহ চালককে আটক করা হয়েছে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরুজ তালুকদার জানান, সাভারের এসবি নিটিং লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতে ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে সিলেট আনন্দ ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের ইটাখোলা নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসবি নিটিং লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) মীর সিহাব উদ্দিন জাকির বলেন, হতাহতেরা সকলেই এসবি নিটিং লিমিটেড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
প্রত্যক্ষদর্শী জনৈক অটোচালক জানান, প্রবল বৃষ্টির সময় মাইক্রোবাসটি দ্রুত গতিতে এসে ওভারটেক করতে গিয়ে হঠাৎ ট্রাকটির সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন পরিবহনের যাত্রী মোঃ ইমরান আল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তার দেখামতে চারজন মারা যায় এবং মুমুর্ষ অবস্থায় থাকা জীবিতরা বাঁচার আকুতি জানিয়ে তার প্রতি বার বার ইশারা করতে থাকে। তিনি তখন তাদেরকে পানি পান করান এবং কালেমা পড়িয়েছিলেন।
নিহত আল আমিনের বড় ভাই মোঃ আসিফ মিয়া বলেন, আমার বড় ভাই সাভার থেকে তার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে ঢাকা থেকে সিলেট আনন্দ ভ্রমণে যাচ্ছিল। রাতেও আমার ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। এখন আমার ভাই আর নেই।
এব্যাপারে শিবপুর থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
বিবার্তা/কামাল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]