নাজিরপুরে বৃষ্টি যেন আমন চাষীদের আর্শিবাদ
চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৬:২২
চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতিনিয়ত বৃষ্টি যেন আমন চাষীদের আর্শিবাদ হয়ে উঠেছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড খরার পর কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। দীর্ঘদিন গরম থাকার পর বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে মুহূর্তেই আনন্দে মেতে ওঠেন নাজিরপুর উপজেলার কৃষকরা।


বৃষ্টি হওয়ায় পতিত জমিতে আমনের চারা রোপণে ও জমি থেকে চারা তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে যেমন সবকিছুরই দাম বেড়ে চলছে তেমনি ধানের চারা ও কৃষকের মজুরী সমান তালে বেড়েছে। ধানের দামের তুলনায় কৃষকের মজুরী বেশি হওয়ায় হতাসায় ভুগছেন কৃষকরা।


বর্তমানে এক মণ ধানের মূল্য ১ হাজার টাকা। অপরদিকে, একদিনে একজন কৃষকের মজুরী বেড়ে হয়েছে ৮ শত টাকা।


জানা যায়, বর্ষাকালের প্রথম দিকে তেমন একটা বৃষ্টি না হওয়ায় এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। উপজেলায় টানা কয়েক সপ্তাহের তীব্র খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে পুরোদমে রোপা আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। জমিতে চাষ, আগাছা পরিষ্কার,সার দেওয়াসহ নানা কাজে এখন পুরো ব্যস্ত তারা।


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষায় সেচবিহীন কম খরচে আমন ধান চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখেন তারা। সময় মতো বৃষ্টির দেখা মিলায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কোমরে গামছা বেঁধে জমিতে আমনের চারা রোপনে নেমে পড়েছেন সবাই।


উপজেলার শেখ মাটিয়া ইউনিয়নের কৃষক নিখিল হালদার জানান, তুলনামূলক অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আষাঢ় মাসে বৃষ্টি অনেক দেরিতে হয়েছে। বৃষ্টি আমন ধানের জন্য খুবই দরকারি। বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে আমন ধান আবাদ করা কঠিন। এখন বৃষ্টি হওয়ায় সেচের বাড়তি টাকা খরচ থেকে রেহাই পেয়ে কৃষকেরা সবাই খুশি।


একই ইউনিয়নের কৃষক সত্য রঞ্জন শীল বলেন, বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে আমরা আমন চাষ করে থাকি। অনেক দিন পর এই বৃষ্টির দেখা পেয়েছি । আমাদের তিন একর জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। আমন ধান চারা রোপণের উপযোগী করতে জমি চাষ শেষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঙ্খিত ফলন হবে বলে তিনি আশা করেন।


কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টির অভাবে এবার ভরা মৌসুম আমন ধানের চারা রোপণ করতে কিছুটা আগে-পরে হয়েছে। তাতে ধান রোপণে দেরি হলেও ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে এবছর আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবং বাম্পার ফলন হবে বলে আশা উপজেলার কৃষি বিভাগের।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইশরাতুন্নেছা এশা বলেন, নাজিরপুরে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৬১৮০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষে ৪৩৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছে, বর্তমানে নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা স্বস্তিতে আমন আবাদ শুরু করেছে।


বিবার্তা/মশিউর/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com