ধর্মপাশায় বিলের ইজারা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ২০:০৩
ধর্মপাশায় বিলের ইজারা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সেলবরষ ইউনিয়নের হিংগার বিল জলমহাল স্থানীয় হিংড়া বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ইজারা দেওয়ার দুই মাস পরে অন্য আরেকটি সমিতিকে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


২০ আগস্ট, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা বিআরডিবির সভাকক্ষে হিংড়া বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন। এ সমিতি খাজনা পরিশোধ করার পরেও তাদেরকে দখলনামা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।


জানা যায়, হিংগার বিল জলমহালটি উপজেলা প্রশাসনের অধীনে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে জলমহালটি ১৪৩০ থেকে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য ইজারা নেওয়ার জন্য সেলবরষ ইউনিয়নের হিংড়া বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি., যমুনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. ও সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. আবেদন করে। পরে ২২ মার্চ উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি হিংড়া বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে তীরবর্তী-১ দেখিয়ে এ সমিতির অনুকূলে ইজারা প্রদান ও সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অফিসঘর (৪২৭ নং দাগ) না থাকায় তীরবর্তী-৩ হিসেবে উল্লেখ করে রেজুলেশন করা হয়।


পরবর্তীতে ২৭ মার্চ ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ইজারা মূল্য ও অন্যান্য করাদি পরিশোধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক হিংড়া বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে ৩০ মার্চ ইজারা মূল্য ও অন্যান্য করাদি পরিশোধ করে হিংড়া বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। কিন্তু তাদেরকে দখলনামা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এদিকে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাছে আপিল মোকদ্দমা দাখিল করা হয়। পরে ২ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বতর্মান অবস্থা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্মপাশার ইউএনওকে আদেশ প্রদান করেন। আদেশ পেয়ে ইউএনও ৬ এপ্রিল সরেজমিন তদন্ত করে ৪২৭নং দাগে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ঘর রয়েছে বলে উল্লেখ করে এ সমিতিকে জলমহালের তীরবর্তী দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। পরে ২৫ মে সৈয়দপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।


ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আমি কোনো তথ্য গোপন করিনি। আমি তদন্তের সময় ৪২৭নং দাগে অফিসঘর পেয়েছি। সরেজমিন যা পেয়েছি তাই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


বিবার্তা/শহীদুল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com