বান্দরবানের লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেছেন, সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসে পৌরসভা এলাকার ৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে সম্পূর্ণ ঘর বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০০ পরিবার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০০ পরিবার। এছাড়া ১ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।
১৯ আগস্ট, শনিবার বিকেলে বন্যার পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় বীর বাহাদুর হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময়কালে এ ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেন, পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি আরও জানান, পৌরসভার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ভেঙ্গে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ৮৫ ভাগ আবাদী জমির ফসল নষ্ট হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর সহ অসংখ্য গবাদি পশু ও হাঁস বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
এছাড়া এলাকার নব্বই ভাগ রিংয়েল, টিউবওয়েল ও মৎস্য চাষের পুকুর বনায় প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ২ হাজার ৯শ পরিবারের মাঝে খাদ্য শস্য ও ২০০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, বান্দরবান জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ বন্যা কবলিতদের মানবিক সহায়তা করেছেন।
মতবিনিময়কালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বাদশা, মোহাম্মদ রফিক, মো. সাইফুদ্দিন, উশৈথোয়াই মার্মা, মরিয়ম বেগম, সাকেরা বেগম, প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামন, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুলকার নাঈম মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/আরমান/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]