আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে গাছ ফেলে ব্যারিকেড
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২৯
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে গাছ ফেলে ব্যারিকেড
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জমির মূল্য না পাওয়ায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়েছেন শাহানূর।


রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার শিবনগর এলাকায় রেললাইনের ওপর গাছ দিয়ে ব্যারিকেড দেন তিনি। শাহানূর শিবনগর এলাকার বাসিন্দা।


প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে আগামী ২২ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বহুল কাঙ্ক্ষিত রেলপথটির উদ্বোধন করবেন।


আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী রিপন শেখ বলেন, যে অংশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে, সেখানে আপাতত আমাদের কোনো কাজ চলছে না। মূলত আমরা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে যখন কাজ শুরু করি তখন শাহনূর প্রবাসে ছিলেন। সে জন্য তার জমির মূল্য পাননি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শাহনূরকে তার জমির মূল্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল ১৩ আগস্ট এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।


ঘটনার পরদিন সোমবার (১৪ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভুক্তভোগী শাহানূর সরকারের সেই জায়গা পরিদর্শন করেছেন আখাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রুহুল আমিন বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের জন্যে অধিগ্রহণ করা জায়গার টাকা ২০১৭ সালেই মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ আগস্ট) এ রেলপথে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন শাহানূর সরকার নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, তার জায়গার ওপর দিয়ে রেললাইন তৈরি করা হয়েছে কিন্তু তিনি অধিগ্রহণের টাকা পাননি। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।


তিনি আরও বলেন, দুপুরে অভিযোগকারী ব্যক্তির জায়গা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৬ আগস্ট জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার এবং রেলওয়ের প্রকৌশলী উপস্থিত থেকে জায়গাটি শনাক্ত করে বিস্তারিত জানাবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ডুয়েলগেজ রেলপথটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার। প্রকল্পের কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই রেলপথটি সরাসরি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করবে বাংলাদেশকে।


বিবার্তা/আকন্ঞ্জি/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com