বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাণাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৫৩
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নির্মাণাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চলমান বন্যায় নির্মাণাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইনের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


বুধবার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, রামু এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছে কর্তৃপক্ষ।


প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কিছু জায়গায় রেললাইন পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় রেললাইনের পাথর, মাটি ও বাঁধ ভেসে গেছে। কিছু অংশে রেললাইন হেলে পড়েছে।


এবারের ক্ষতি এ প্রকল্পের জন্য গুরুতর ধাক্কা এবং এ ক্ষতির কারণে প্রকল্প শেষ হতে দেরি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, এ অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক না হওয়ায় আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পুরো রিপোর্ট পাইনি। আমরা কিছু লোককে পাঠিয়েছিলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে। পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পাব।


মফিজুর রহমান বলেন, বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে পানির স্রোত এসে সাতকানিয়ার কেরানিরহাটের কাছে রেললাইনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
পানির স্রোতে রেলের জমিতে ভূমিক্ষয় হতে পারে এবং পানি বের হয়ে যাওয়ার সময় আরো ক্ষতি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


‘রেললাইনটি বন্যার পানি নেমে যেতে বাধা দেয়’ এমন দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রেললাইনের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পানির পানির লেভেল সমান। উজানের পানি নেমে গেলে, আমাদের দোষ দেওয়া যেত, কিন্তু তা হয়নি।


তিনি বলেন, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইন যেন পানির জন্য বাধা না হয়, সেজন্য রেললাইনে ২ শতাধিক কালভার্ট ও সেতু আছে।


সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটারের প্রকল্পটি দুটি ধাপে বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রথম ধাপে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে আইকনিক ভবনসহ ৯টি স্টেশন ভবন নির্মাণ (দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু, কক্সবাজার, ৩৯টি মেজর ব্রিজ, ২৮৭টি মাইনর ব্রিজ-কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেবেল ক্রসিং ও একটি আন্ডারপাস, হাতি চলাচলের জন্য ওভারপাস ও থারমাল ইমেজিং ক্যামেরা প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। আগামী মাসে প্রকল্পটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।


চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নির্মাণাধীন রেললাইন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে বলে গত ১৬ মে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।


বিবার্তা/ফরহাদ/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com