৩ মাসের জন্য বন্ধ হলো কালুরঘাট সেতু। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে কালুরঘাট সেতুতে। বিকল্প হিসেবে ফেরি ও শাহ আমানত সেতু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ
১ আগস্ট, মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর এ সেতুর দুই প্রবেশ মুখে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে নদীর ওই অংশ পারাপারের জন্য কর্তৃপক্ষ আপাতত ফেরির ব্যবস্থা করেছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা বলেন, কালুরঘাট সেতুতে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প হিসেবে ফেরিতে অথবা শাহ আমানত সেতু ব্যবহার করতে হবে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ এ বিষয়ে সেতুর দুই পারে একটি বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মেরামত কাজের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সেতুতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
অবশ্য সংস্কার কাজের জন্য সেতু যে বন্ধ রাখা হবে, সে ঘোষণা আগেই দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য গত ২০ আগস্ট থেকে ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়। তৈরি করা হয় দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেরির টোলও নির্ধারণ করে দেয়।
চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলে। চট্টগ্রাম থেকে যখন কক্সবাজারে ট্রেন যাবে, এই কালুরঘাট সেতু দিয়েই কর্ণফুলী পার হতে হবে।
আগামী সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ চালুর আশা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারে রেলস্টেশন নির্মাণসহ প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
কিন্তু প্রায় শতবর্ষী এ সেতু ছিল রেল চালুর ক্ষেত্রে মাথাব্যথার বড় কারণ। সেজন্যই সেতুটি সংষ্কারের উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
১৯৩০ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় ৭০০ গজ দীর্ঘ কালুরঘাট রেল সেতু। ১৯৫৮ সালে এ সেতু সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার
বিবার্তা/জাহেদ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]