বানের পানিতে টান ধরেছে তবে ভোগান্তিতে ‘থানাহাট’ ও ‘রমনা’
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪৭
বানের পানিতে টান ধরেছে তবে ভোগান্তিতে ‘থানাহাট’ ও ‘রমনা’
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি দুই দিন থেকে কমতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে পাড় উপচে লোকালয়ে যে পানি প্রবেশ করে সমতল এলাকাগুলো পানি বন্দি হয়ে পড়েছিল সেসব এলাকা থেকে এখনো পানি নেমে যেতে পারেনি। এত সাময়িক সময়ের জন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশকিছু গ্রামের মানুষ।


পানিবন্দিরা বলছেন, শহর বা লোকালয় অথবা সদর এলাকাগুলো থেকে পানি নিষ্কাশনে সঠিক পথ না থাকায় বন্যার পানি সমতল এলাকায় জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।


অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চরাঞ্চলের এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তিতে রয়েছেন চরাঞ্চলের মানুষরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের হরিণের বন্দ এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদের পানি কমলেও ওই এলাকা থেকে এখনো পানি কমতে শুরু করেনি। এসময় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তা।


এদিকে থানাহাট ইউনিয়নের ডেমনার পাড় এলাকায় রাস্তা না ডুবলেও সমতল এলাকা এখনো পানিতে ডুবে আছে। কমতে দেখা যায়নি পানি।


বন্যা পূবার্ভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র হতে জানানো হয়েছে, চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করায় বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টা জেলার প্রধান নদনদীগুলোর পানি কমতে থাকবে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও জানানো হয়েছে।


ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী স্টেশন পয়েন্টের গ্যাজরিডার মো. জোবাইর হোসেন জানান, গতকাল রাত থেকে পানি কমেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৩৮ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো খোঁজ খবরও নেয়া হচ্ছে।পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।


বিবার্তা/রাফি/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com