ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ১৮:২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দারের কাছে জন্ম নিবন্ধনের স্বাক্ষর আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।


ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মাসের ১৮ তারিখে বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান স্বাক্ষর আনতে তার বাসায় যান। সেখানে চেয়ারম্যান একাই ছিলেন। এসময় ওই নারী বাসায় ঢুকলে চেয়ারম্যান তার বাসায় দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে জোর করে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান । ওই নারী এই ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে মাফ চান এবং ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে জানান। পরে ওই নারী চলে গেলে চেয়ারম্যান তার কথা পাল্টে ফেলেন এবং তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।


একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। ২৫ মে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী তাকে তালাক দেন। নিরুপায় হয়ে ওই নারী ২৯ মে বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি হাজী ছফিউল্লাহ মিয়ার অফিসে এই বিষয় নিয়ে আপস মীমাংসার জন্য বসে। কিন্তু সমাধান না করেই সবাই চলে যায়।


পরে ওইদিন রাতেই তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের সাবিনা মেম্বারের বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার ও ভুক্তভোগী ওই নারী উপস্থিত হন। এরপর রাতেই ছয় লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।


এই বিষয়ে ইউপি নারী সদস্য সাবিনা মেম্বারের মোবাইল কল করলে তার স্বামী নূরুল আমিন সরকার মোবাইল রিসিভ করে বলেন, রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী আমাদের বাসায় এসেছিল। সবাই বসে চা খেয়ে কথা বলেছে। তবে টাকা দিয়ে সমাধান করার বিষয়টি আমার জানা নাই।


এদিকে, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়ের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।


এই বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার বলেন, ইউনিয়নের বরাদ্দ নিয়ে মেম্বারদের সাথে অনেক সময় ঝামেলা হয়। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এসব তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


এই বিষয়ে জানতে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল্লাহ মিয়ার মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।


বিবার্তা/নিয়ামুল/সউদ/নিলয়

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com