তালগাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ১৭:৩৮
তালগাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে প্রাচীন ৩০ টি তালগাছ উপড়ে ফেলার ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ মে তাদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।


৭ মে, রবিবার এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট শেখ মো. সোহেল রানা।


পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ২৫ বছরের প্রাচীন তিরিশটি তাল গাছ ভেকু মেশিন দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির অনুমোদন ছাড়া সড়কের পাশে তাল গাছসহ বনবিভাগের রোপণকৃত বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছের চারা কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে বজ্রপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধিসহ পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


জানা গেছে, এলজিইডির জলবায়ু সহিষ্ণু গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্থ মাটির সড়ক সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করেছে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এ সড়কের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে সড়কের পাশের ২৫ বছরের প্রাচীন অন্তত তিরিশটি তাল গাছসহ বনবিভাগের সৃজিত বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছের চারা কাটা হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যক্তি মালিকানার জমি থেকে মাটি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জমি মালিকদের সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলু গাজী বলেন, এলজিইডির দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্থ সড়ক সংস্কার কাজ বাস্তবায়নে এ তাল গাছগুলো কাটতে হয়েছে। এছাড়া তাল গাছগুলো যাদের বাড়ির সামনে পড়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।


স্থানীয়রা এবং পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, তালগাছ বজ্রঝুঁকি রোধে অধিক কার্যকর। এ মৌসুমে কালবৈশাখী ঝড় বেশি হয়। তাই তালগাছ না কেটে আরও রোপণ করা উচিৎ। যে অঞ্চলে তালগাছ বেশি থাকে, সে অঞ্চলে বজ্রপাত হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।


বিবার্তা/রিয়াদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com