বাবার অটোরিকশা (মিশুক) নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজের তিনদিন পর মো. রনি (১৮) নামে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৩ মার্চ, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্ছানগর এলাকার মনতাজ মিয়ার পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশে রহমানিয়া খালে তার মৃতদেহের সন্ধান মিলে। বিকেল ৬ টার দিকে সদর থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
রনি সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওায়র্ডের শাকচর গ্রামের কাজী দরবেশ বাড়ির নুর আলমের ছেলে। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন বিন তাহের বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি খাল পাড়ের জমি থেকে ঘাস কাটতে এসে কচুরিপানা ভর্তি খালের পানিতে উপুড় হয়ে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে। পরে আমাকে জানালে আমি পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ মৃতদেহটি খাল থেকে উদ্ধার করে। মৃতদেহটি পচন ধরেছে। কয়েকদিন আগে মৃতদেহটি কেউ খালে ফেলে রেখে যেতে পারে।
রনির বাবা নুর আলম বলেন, একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি আমার নিখোঁজ ছেলের হিসেবে শনাক্ত করি। তার হাতের ঘড়ি এবং পড়নের জামা-কাপড় দেখে মৃতদেহটি চিনতে পারি। তিনি বলেন, গত শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেল ৩ টার দিকে দিকে আমার ছেলে একটি মিশুক (ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা) নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭ টর দিকে শহরের গণি হেডমাস্টার সড়কের মুখে তার সাথে আমার দেখা হয়। তখন সে যাত্রী নিয়ে মিশুক চালাচ্ছিলো। ওইদিন রাতে আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। তার মিশুকটিরও সন্ধান মেলেনি। এ বিষয়ে শনিবার (১১ মার্চ) আমি সদর থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করি।
তিনি আরও বলেন, আমি তাবলিক জামায়াতে যাবার পর সংসার খরচ চালানের জন্য সে আমার মিশুকটি চালাতো। এখন সে লাশ হয়ে ফিরলো। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, খালে থাকা কচুরিপানার নীচে নিখোঁজ রনির মৃতদেহের সন্ধ্যান পাওয়া যায়। সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে- ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/সুমন/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]