ভালুকায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল-পলাশ
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৪:২৩
ভালুকায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল-পলাশ
ভালুকা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এই বসন্ত ঋতুতে সেজে উঠেছে বাংলার প্রকৃতি। বসন্ত ঋতুতে কোকিলের কুহু-কুহু শব্দে যেন প্রকৃতি মুখরিত হয়ে যায়। প্রকৃতি যেন বর্ণীল সাজের হাতছানি দেয়। গ্রামের পথে-প্রান্তের গাছে গাছে হলুদের নিবিড় সমাগম দেখা যায়। মুগ্ধতা ছড়ায় বাহারি ফুলের রঙ।


ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সাথে সাথে প্রকৃতি সেজে ওঠেছে তার আপন রুপ, রং আর বৈচিত্র্যে। গাছে গাছে ফুটে শোভা পাচ্ছে পলাশ, কাঞ্চন আর শিমুল। সবই যেন জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের রাজত্বকে। সেই সাথে ঝোপা ধরা ফুলের মাঝে মাঝে উড়ে বেড়ানো মৌমাছি অথবা পাখিদের মিতালি। এ যেন প্রকৃতি তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে ঢেলে দিয়েছে মানুষের উপভোগের জন্য। যা দেখে মন ভরে যাবে যে কোনো বয়সের প্রকৃতি প্রেমীদের।


গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় চলছে বসন্ত। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়েছে এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।


ভালুকায় দেখা মিলছে হাজারো গাছে ফুটে থাকা আবির রাঙ্গা বাসন্তি ফুলের। আর সেই দেখা চোখ জুড়াবে সারি সারি কাঞ্চন আর পলাশ গাছে ফুটে থাকা বাহারি কাঞ্চন আর পলাশ ফুল। এছাড়া, উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নে মাঠ-ঘাটের বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারে গাছে ফুটেছে রক্তরাঙ্গা শিমুল ফুল।


ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা আশিকুর রহমান ইমরান বলেন, ঋতুরাজ বসন্তের এই ফুল না দেখলে মনে হয় কি যেন দেখলাম না। প্রতিটি ফুলের সৌন্দর্য একেক রকম। পলাশ, কাঞ্চন আর শিমুল ফুলগুলো সেজে উঠেছে তার আপন রূপ, রং আর বৈচিত্র্য নিয়ে। যতটা সময় তাকিয়ে থাকি ততক্ষণ চোখের পলক আটকে থাকে ফুলগুলোর স্নিগ্ধতার কাছে স্রষ্টার সৃষ্টি এই অপার সৌন্দর্য যে দেখবে না সে হয়ত বিশেষ কিছু দেখা থেকে বঞ্চিত হলো।


এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায়। তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত করবী লাল রঙে ফুটে উঠে দৃষ্টি কেড়ে নেয়। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার জন্ম হয়।


তবে বৈশ্বিক দূষণ আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র্য আর সৌন্দর্যকে। প্রকৃতিকে আর স্বরূপ ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন পরিবেশদূষণ রোধ ও ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করা।


বিবার্তা/ সাজ্জাদুল/মাসুম/কেআর


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com