ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-নির্বাচনে আ. লীগের ৩ নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহার
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-নির্বাচনে আ. লীগের ৩ নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহার
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই তিন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।


শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) নেতা শাহজাহান সাজু।


রবিবার (১৫ জানুয়ারি) ছিল এ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে এর একদিন আগেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের তিন নেতা।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওই প্রার্থীদের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র জানায়, ওই সভা থেকেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসে। এক্ষেত্রে উপ-নির্বাচনের এক বছর পরই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে তারা সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।


এ অবস্থায় আসনটিতে কপাল খুলতে যাচ্ছে পদত্যাগের পর দল থেকে বহিষ্কার হওয়া বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার!


এ আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হওয়া আট প্রার্থী হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।


মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন মন্তু, শাহ মফিজ, মোহন মিয়া ও আব্দুর রহিম। হলফনামায় স্বাক্ষর, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ব্যাংক স্টেটমেন্ট দাখিল না করাসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনীতিবিদ বলেন, মূলত কৌশলগত কারণে এখানে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এ আসনে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা। আব্দুস সাত্তারের জয়লাভের মধ্য দিয়ে যেন এখানে তার ইমেজ ঠিক থাকে এর সুযোগ নিতে চায় আওয়ামী লীগ। কেননা, আওয়ামী লীগ মনে করছে, আব্দুস সাত্তারের চেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রুমি ফারহানা। পরে নির্বাচনে আব্দুস সাত্তার থাকলে আওয়ামী লীগের জন্য জয়লাভ অনেকটা সহজ হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালের পর ওই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচিত হননি।


এদিকে, এ উপ-নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনায় আছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করে পরে আবার ক্ষোভে দল থেকেই পদত্যাগ করেন তিনি। পরে তার নামে কেনা হয় উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপত্র। এর পরপরই তাকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সবশেষ সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।


বিবার্তা/এমএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com