মান্দায় রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:২৩
মান্দায় রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
মান্দা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রিন্ট অ-অ+

নওগাঁর মান্দায় প্রসাদপুর খেয়াঘাট থেকে পাঁজরভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত রাস্তার পিচ উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে সরু হয়ে গেছে। ফলে যানচলাচল অনেকেটা বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। অতিদ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন তারা।


স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেরিঘাট হয়ে পাঁজরভাঙ্গা এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবে কখনোই একসাথে রাস্তাটি সংস্কার কাজ করা হয়নি। এতে করে রাস্তাটির এক অংশ সংস্কার হলেও বাকি অংশের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। এতে পথচারীদের ভোগান্তির বেড়ে যায় অনেক। বিশেষ করে বুড়িদহ খেয়াঘাট থেকে প্রসাদপুর খেয়াঘাট (শুটকির মোড়) পর্যন্ত রাস্তা একেবারে চলাচলের অনুপযোগী। এই ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি এখন এলাকাবাসীর অস্বস্তির কারণ। ধূলোতে ঢেকে গেছে রাস্তার পাশের বাড়ি-ঘর, রাস্তায় পানি ছিটিয়েও মিলছে না প্রতিকার।


স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কসব, কাঁশোপাড়া, প্রসাদপুর ইউনিয়নসহ অন্যান্য জায়গা থেকে আসা কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি মান্দা ফেরিঘাট থেকে পাঁজরভাঙ্গা হয়ে সরাসরি আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।


পথচারীরা জানান, দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না থাকায় ও মাটি ব্যাবসায়ীরা ট্রাক্টরে করে বেপরোয়াভাবে কৃষি জমি, পুকুর খনন ও নদী থেকে মাটি পরিবহনের ফলে রাস্তার ধার ভেঙে গেছে। পুরো রাস্তাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অনেক গর্ত। ফলে দুইটা গাড়ি একসাথে রাস্তা পার হতে পারে না। অনেক জায়গাতে ছোট একটা গাড়ি যাওয়ার অবস্থা নেই। প্রতিনিয়ত গাড়ী উল্টে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।


পথচারীরা আরও জানান, গর্ভবতী নারীদের নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে দ্রুত যাওয়া যায় না। কোন রকমে হাসপাতালে পৌছলেও সেই সময় রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। সচারাচর কোন ভ্যান-অটো এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। গেলেও তার জন্য গুনতে হয় তিনগুণ ভাড়া। এছাড়া মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরে করে মাটি পরিবহনের জন্য সরকারি রাস্তা কেটে তৈরি করেছেন সংযোগ সড়ক— যা দেখার কেউ নেই।


দ্বারিয়াপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না করায় সেটি এখন চলাচলের উপযোগী নয়। এ কারণে কষ্ট করে নৌকা অথবা বাশেঁর ব্রিজে নদী পার হয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। এমন সময় ভাঙা অংশ সংস্কার করা হবে, যখন রাস্তার অন্য অংশ আবার ভেঙে যাওয়া শুরু হবে। ফলে এই রাস্তায় জনগণের ভোগান্তি আর শেষ হবে না।


তুলসীরামপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ বলেন, পাঁজরভাঙ্গা থেকে ফেরিঘাট যাওয়ার রাস্তাটির অবস্থা অনেক খারাপ। রাস্তাটি সংস্কার না করায় অনেক কষ্টে আমাদের এলাকা থেকে উপজেলায় ও ফেরিঘাট যেতে হয়। উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে অতি দ্রুত কয়েক কিলোমিটার এই ভাঙা রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, পাঁজরভাঙ্গা থেকে পলাশবাড়ি অংশের রাস্তা সংস্কার কাজ করা হয়েছে। আগামীতে প্রসাদপুর খেয়াঘাট থেকে শুরু হওয়া ভাঙা রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।


বিবার্তা/আপেল/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com