শিরোনাম
পাবনায় স্কুলছাত্র হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:২৭
পাবনায় স্কুলছাত্র হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পাবনায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে আব্দুল হাদি (৩১) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে আরও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।


নিহত হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মহসিন আলম ছালামের ছেলে। সে পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হাদি পাবনা শহরের রাধানগর নারায়নপুর মহল্লার গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি জনতা ব্যাংক পাবনা শাখার পিওন ছিলেন।


এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সালমা আক্তার শিলু বলেন, ২০১৬ সালে ২৩ মার্চ পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু প্রাইভেট পড়তে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় মিশু একটি মোবাইল ফোন দিয়ে তার মাকে বলে সে তার বন্ধুদের সঙ্গে আছে। বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। সেদিন রাতে মিশু বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন পাবনা উপশহরের রামানন্দপুরের একটি লিচু বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই দিনই মিশুর বাবা মহসিন আলম ছালাম সদর থানায় মামলা করেন।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে শনাক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আব্দুল হাদিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়।


এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ একই মামলায় পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু সহপাঠী ফয়সাল জামান শুভকে (১৭) ১০ বছরের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ সময় শামসুজ্জামান সিয়াম (১৬) নামের তার আরেক সহপাঠীকে খালাস দেন আদালত।


বিবার্তা/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com