শিরোনাম
‘এবার কচুর দাম খুবই ভালো’
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২১, ২১:০৩
‘এবার কচুর দাম খুবই ভালো’
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

করোনার কারণে কুমিল্লার বাজারগুলোতে কচু শাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লার অলিগলিতেও কচু বিক্রি হচ্ছে। এবছর প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১২০-১৪০ মণ কচু পাচ্ছেন চাষিরা। জমিতে কচুর আবাদ করে চাষিরা স্থানীয় বাজারেই দর পাচ্ছেন কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে। দিন দিন কচুর লতির চাহিদা বেড়েই চলছে। এ থেকে ৭ থেকে ৮ হাজার টন লতি উৎপাদন হবে বলে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে।


দেশে কচুর বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে। কচু শাক, কচুর ডগা, কচুর মুখি, ও লতি সবজি হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। কচুতে প্রচুর পরিমাণ লৌহ ও ভিটামিন থাকে।


আগাম জাতের কচু চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কুমিল্লার চাষিদের মুখে। চলিত মৌসুমে বর্ষার প্রকোপ বেশি থাকায় কচুর সেচ খরচও কম হয়েছে। যেখানে দুই দিনে একবার সেচ আর প্রতি সেচেই সার দিতে হয় সেখান এ বছর খরচও কম হয়েছে। রোগ ও পোকাও তুলনামূলক কম।


বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বরুড়া উপজেলার কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৯ কাঠা জমিতে আগাম জাতের কচু চাষ করেছেন। খরচও তুলনামূলক কম হয়েছে।


তিনি বলেন, ৯ কাঠা জমিতে কচু চাষ করেছি। এক কাঠা জমি থেকে ৫-৬ মণ করে কচু পেয়েছি। জমি থেকেই ৫৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করে দিচ্ছি। প্রতিবার তো এমন দাম হয় না, এবার কচুর দাম খুবই ভালো। যদি এমন বাজার থাকে তাহলে কচুতে প্রচুর টাকা আয় হবে।


কুমিল্ল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কচু চাষ খুবই লাভজনক। চাষিরা কচু চাষ করে বেশ ভালো লাভ করছেন। সেই সঙ্গে দিন দিন কচু চাষ এ অঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। মুখি কচুর পাশাপাশি লতিরাজ কচু চাষ করেও কৃষকরা কম সময়ে লাভবান হচ্ছেন। করোনায় কচু শাক খাওয়া ভালো। সে কারণে মানুষ এ শাক বেশি খাচ্ছে।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com