নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সৎ মাকে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে আমির হোসেন (২২)। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করেন তিনি। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
নিহত সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার তাহের আলীর মেয়ে এবং উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, সৎ মাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে আমির হোসেন। তিনি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। বুধবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা ও নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি মাহমুদুল জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিন বছর আগে উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তিনি জানতে পারেন, সেলিনা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী। নুরু মিয়ার আগের সংসারের ছোট ছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে সৎ মা সেলিনা আক্তারের প্রায় সময় বাকবিতণ্ডা হতো।
এরই জের ধরে গত ১১ জানুয়ারি বিথী তার সৎ শাশুড়ির সঙ্গে চুলায় রান্না করা ও বিছানায় প্রস্রাব করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। মঙ্গলবার রাতে বাবা নুরু মিয়ার অনুপস্থিতিতে সৎ মা সেলিনা আক্তারের সঙ্গে ছেলে আমির হোসেনের এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারালো ছুরি নিয়ে ছেলের দিকে তেড়ে যান। এ সময় আমির হোসেন তার হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাকেই আঘাত করে হত্যা করেন। সৎ মাকে হত্যার পর আমির হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]