শিরোনাম
এক চাঁন মিয়ার স্ত্রীর মামলায় জেল খাটছেন আরেক চাঁন মিয়া
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫০
এক চাঁন মিয়ার স্ত্রীর মামলায় জেল খাটছেন আরেক চাঁন মিয়া
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নামের মিলে কারাভোগ করছেন এক চাঁন মিয়ার স্থলে অন্য চাঁন মিয়া। টাঙ্গাইলের মধুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে।


হাজতবাসী চাঁন মিয়া লেপ তোষকের ব্যবসায়ী ও উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের কুড়াগাছা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জরু শেখ। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে সুখের সংসার তার।


অথচ আরেক চাঁন মিয়ার স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে আটক হয়ে এখন কারাগারে এই চাঁন মিয়া। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কারাভোগকারী চাঁন মিয়ার পরিবার।


জানা যায়, সি.আর ১৭০/১৯ নং যৌতুকের ৩ ধারায় মামলার বাদী জমিলা বেগম। তিনি ১২ বছরের এক মেয়ে সন্তান নিয়ে থাকেন ঢাকায়। যৌতুক দাবি করায় এক বছর আগে তিনি তার স্বামী চাঁন মিয়ার নামে মামলা করে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টেসে চাকরি নেন। তার শ্বশুরের নাম জহুর আলী।


জমিলা বেগমের স্বামীর বাড়ি উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামে। তার পেশা গাছ কাটা।


অথচ আটক হয়ে জেলে যাওয়া চাঁন মিয়ার বাড়ি কুড়াগাছা ইউনিয়নের কুড়াগাছা গ্রামে। তিনি মামলার বাদী জমিলা বেগমের প্রতিবেশী। মামলার আসামি চাঁন মিয়ার বাবার নাম জহুর আলী হলেও শুধু নামের মিলে কারাভোগ করছেন জরু শেখের ছেলে চাঁন মিয়া।


গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) পুলিশের অভিযানে আটক হন লেপ তোষকের ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া। তাকে ওইদিনই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলী আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


আটক চাঁন মিয়ার পরিবারের অভিযোগ, গ্রেফতারের সময় স্বজনসহ স্থানীয়রা পরোয়ানার কাগজ বা কারণ জানতে চাইলেও পুলিশ কথা শোনেনি। অযথা নিরীহ চাঁন মিয়াকে মামলার আসামি হিসেবে আদালতে হাজির করে।


কারাভোগী চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তার স্বামীর নামে এ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে অন্তত ২০ বছর আগে। ওই ঘরের এক ছেলে বাবার সঙ্গে থেকেই ব্যবসা করছে।


মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, নামের মিল থাকায় কারাগারে পাঠানো চাঁন মিয়া মামলার প্রকৃত আসামি কিনা প্রমাণিত নয়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়া যে ওই মামলার আসামি না তেমন কোনো দাবি করেননি তিনি। আসামির নাম, বাবার নাম আর ঠিকানা এক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


মামলার আসামির বাড়ি উপজেলার মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামে হলেও গ্রেফতার করা আসামির বাড়ি উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নে বলে জানানো হলে ওসি বলেন, গ্রেফতার আসামির বাড়ি আগে মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামে ছিল। তবে এ ঘটনায় বাদীর সঙ্গে কথা হয়েছে, আজ আদালতে নিশ্চিত হবে কে আসল আসামি।


এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, সি.আর মামলা কোর্টে হওয়ায় ও নামের মিল থাকায় অনেক সময় এমন ভুল হয়ে যায়। তবে বিষয়টি তার জানা নেই। আদালতে জামিন আবেদন করলে বিনাদোষে কারাভোগকারী জামিন পাবেন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com