ধানের জেলা দিনাজপুরে অনেক আগে থেকেই সিম চাষের খ্যাতি রয়েছে। আর সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে জেলার অসংখ্য কৃষক এ মৌসুমেও সিম চাষ করেছেন। কিন্তু এবার সিম ক্ষেতে অজ্ঞাত রোগের আক্রমণ দেখা দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। পাতা ও ফুল হলুদ বর্ণ ধারণ করে ঝরে যাচ্ছে। সদ্য ফুটন্ত সিমে মধ্যেও গুটি গুটি দাগ পড়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সিম গাছে এই রোগ বীজ বাহিত। কিছু রয়েছে জাব বোগ। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শে বালাইনাশক ছিটিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা কৃষক। তাই, কৃষক এবার সিম ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।
দিনাজপুরের বিস্তৃর্ণ ক্ষেত জুড়ে এখন চোখে পড়ছে সিমের গাছ আর ফুল। সিম ক্ষেতে অজ্ঞাত রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সিম গাছে এই রোগ বীজ বাহিত। রয়েছে কিছু জাব রোগ। পাতা ও ফুল হলুদ বর্ণ ধারণ করে ঝরে যাচ্ছে। সত্য ফুটন্ত সিমে মধ্যেও গুটি গুটি দাগ পড়েছে। সিম গাছে অজ্ঞাত রোগের আক্রমন থেকে প্রতিকার পেতে কৃষক বালাইনাশক ছিটাচ্ছে। কিন্তু এতে কোন লাভ হচ্ছে না।
সদর উপজেলা উলিপুর এলাকার কুষক মোতাহারুল জানালেন, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে সিম আবাদ করেছেন। ফুলও এসেছে,ভালো।কিন্তু সিমের কুড়ি আসার সাথে সাথে তা কুকড়ে যাচ্ছে। হলুদ বর্ণ আকার ধারণ করে ঝরে যাচ্ছে পাতা।
একই কথা জানালেন, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম। এক ধরণের ভাইরাস আক্রমণে বিবর্ণ তার সিম ক্ষেত।বার বার কীটনাশক প্রয়োগেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা তিনি। বরং কীটনাশক কিনতে বাড়তি খরচ হচ্ছে তার। সিম গাছে এ রোগ প্রতিকারে কোন পরামর্শ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তিনিসহ আরো বেশ কয়েকজন কৃষকের। সিম ক্ষেত নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
দিনাজপুরে এবার এক হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে শীতকালীন সবজি সিম। কিন্তু অজানা রোগের কোন প্রতিকার না পেয়ে অনেক কৃষক সিম গাছ ক্ষেত থেকে তুলে ফেলছেন। ছেড়ে দিয়েছেন সিম চাষাবাদের আশা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল জানালেন, বীজ থেকে এ ভাইরাস জাতীয় রোগের আর্বিভাব। এছাড়াও সিম গাছে রোগ “জাব” রয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে আমরা কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি। কিটনাশক ছাড়াও এ রোগ প্রতিকারে সাবান পানিও কাজে দেয়। আক্রমণের শুরুতে সাবান পানি ছিটিয়ে দিলেও কৃষক প্রতিকার পায়।
বিবার্তা/শাহী/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]