লক্ষ্মীপুরে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. জাবেদ হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি দমাচাপা দিতে নিহতের লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি নিহতের স্বজনদের।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে প্রেমিকা পলি আক্তারের নানার বাড়ি (ইন্দ্র পন্ডিত বাড়ি) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কলেজ ছাত্র জাবেদ একই ইউনিয়নের হাসন্দী গ্রামের শরীফ উল্যার ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। প্রেমিকা পলি আক্তারও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের পূর্ব হাসন্দি গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ের সঙ্গে কলেজ ছাত্র জাবেদের ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে দুজনই পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের ভাই ফরহাদ, রুবেল ও লিটনসহ কয়েকজন কৌশলে ফোনে জাবেদকে মেয়ের নানার বাড়িতে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে পিটিয়ে জাবেদকে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনাটি দামাচাপা দিতে লাশটি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

নিহত জাবেদের বাবা শরীফ উল্যা বলেন, আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন তিনি।

হত্যার বিষয় অস্বীকার মেয়ের স্বজনরা জানায়, পালিয়ে যাওয়ার জন্য দু’জন বিজয়নগর মেয়ের নানার বাড়িতে একত্রিত হয়। কিন্তু মেয়ে পালাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভে বসত ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে জাবেদ আত্মহত্যা করে। ঘটনার সাথে তারা কেউই জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ ওসি (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিবার্তা/সুমন/এসএ