করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্দি-কাশি ও জ্বর থাকায় বিদেশ ফেরত ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত তাদের এই কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়।এর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় তিন জন, আশাশুনি উপজেলায় দুই জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ছয় জন, দেবহাটা উপজেলায় এক জন ও শ্যামনগর উপজেলায় এক জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, সাতক্ষীরায় ইতিমধ্যে বিদেশ ফেরত ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এসব ব্যক্তিদের বিশেষ নজরদারীতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ সব ব্যক্তিরা যেন ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা না করে সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের উপর স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম পুলিশকে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এদিকে, ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি বিশ্বজিত সরকার জানান, করোনাভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধে আজ (১৭ মার্চ) থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীরা নতুন করে কেউ দু-দেশে যাতায়াত করতে পারবেন না বলে জানা গেছে। এ নির্দেশনা চলবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে, উভয় দেশের নাগরিক আগে যারা বাংলাদেশে এসেছেন বা ভারতে গেছেন তারা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন।সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ৯০৮ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ২০২ জন ভারতে গেছেন। পক্ষান্তরে ভারত থেকে ৭০৬ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।

বিবার্তা/সেলিম/জাহিদ