শীতে কাঁপছে, দিনাজপুরসহ উত্তরের জনপদ। চারদিন ধরে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত ও শৈত্যপ্রবাহে ছন্দপতন হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার|সেইসাথে দেখা দিয়েছে শীতজনিত নানা রোগ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস|আর বৃহত্তর দিনাজপুরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস|

শীতে দুর্ভোগ দুর্দশা বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের|কষ্টে বেড়েছে বৃদ্ধ, শিশু এবং সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজনের|সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাজার-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। এলাকার ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহের হাড়কাঁপানো শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখিও কাবু হয়ে পড়ছে। দিনের প্রথম ভাগ ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। কোথাও কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও নিমিষেই ঘন কুয়াশায় তা ঢেকে যায়। তাই হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে দিনের বেলায়|

ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের আলু ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি। বোরো ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। আলুর খেতে দেখা দিয়েছে লেটব্রাইটসহ বিভিন্ন রোগ।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. তৌহিদুল ইকবাল জানান, বোরো বীজতলা রক্ষা ও রোপনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। শীতে গবাদী পশু ও হাঁস-মুরগির নানা রোগ দেখা দিয়েছে। গবাদী পশু ও হাঁস-মুরগি পালনকারীরা এ নিয়ে পড়েছে বিপাকে।

এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় মাথা ব্যথা, কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা শীতজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।

দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, যে সকল শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের চিকিৎসা চলছে। জেলার ১৩ উপজেলার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিবার্তা/শাহ্ আলম/এসএ/জাই