
স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস শহরের একটি বাড়ির শোবার ঘরে পাওয়া গেছে মৌমাছির চাক। ওই বাড়ির ভেতরে তিনটি মৌচাক পাওয়া গেছে। এসব মৌচাকে রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মৌমাছি।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই বাড়ির শোবার ঘরের ছাদের প্লাস্টারবোর্ডে বেশ কয়েক বছর ধরে এই মৌমাছির চাক রয়েছে। বাড়ির মালিকের নাতি বিবিসিকে বলেন, অনেক দিন ধরে রাতের বেলায় ঘরের ভেতর তাঁরা গুনগুন শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি চাকে প্রায় ৬০ হাজার মৌমাছি রয়েছে। মৌমাছি চাষ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান লচ নেস হানি কোম্পানির অ্যান্ড্রু কার্ডকে এসব মৌমাছির চাক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ এসব চাক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী বছর এসব চাক থেকে মধু উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
অ্যান্ড্রু কার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে বিরাট মৌচাকে হাজার হাজার মৌমাছিকে উড়তে, নড়াচড়া করতে দেখা যায়। এতে ভবিষ্যতের কাজ সম্পর্কেও অ্যান্ড্রু কথা বলেন।
দ্য প্রেস অ্যান্ড জার্নালকে অ্যান্ড্রু কার্ড বলেন, তাঁর ধারণা, প্রথম মৌচাক প্রায় সাত বছরের পুরোনো। বাকি দুটি গত কয়েক বছরের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
অ্যান্ড্রু বলেন, তিনি এ পর্যন্ত যত মৌচাক দেখেছেন, তার মধ্যে এগুলো হচ্ছে সবচেয়ে বড়।
অ্যান্ড্রু কার্ড বলেন, প্রথমেই থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার সহায়তায় মৌচাক পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। প্লাস্টারবোর্ডের ভেতরে যে পরিমাণ মৌমাছি রয়েছে, তা তিনি ধারণাও করেননি।
এই মৌচাষি বলেন, ‘প্রথমে মৌমাছিদের অবস্থান বুঝতে আমি থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করি। এর মাধ্যমে আমি মৌমাছির সঠিক অবস্থান শনাক্তের ব্যাপারে একটা ধারণা পেয়ে যাই। এরপর প্লাস্টারবোর্ড খোলার কাজ শুরু করা হয়।
আমার ধারণা ছিল, প্রতিটি মৌচাক তিন ফুট হতে পারে। কিন্তু বোর্ড খোলার পর দেখা যায়, একেকটি মৌচাক ৬ থেকে ৮ ফুট লম্বা।’
কার্ড বলেন, ‘আমার প্রত্যাশার চেয়ে মৌচাক বড় ছিল। এসব মৌচাকে ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মৌমাছি রয়েছে।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]