ছেলের আত্মার শান্তির কামনায় বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বাবা-মা। সকলকে চমকে দিয়ে শ্রাদ্ধের দিন সশরীরে হাজির ছেলে।
এমন দৃশ্য সাধারণত সিনেমার পর্দায় দেখা যায়। বাস্তবেও যে এমন কিছু ঘটতে পারে, তার উদাহরণ এই ঘটনা।
বাড়ির একমাত্র ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলছিল। চারদিকে শোকের আবহ। সকলেরই চোখের কোণে চিক চিক করছে জল। হঠাৎ বাড়ি থেকে অদূরে একটি মাঠে অবতরণ করল হেলিকপ্টার। কপ্টারের দরজা খুলে নেমে এলেন ‘মৃত’ ছেলে। পায়ে হেঁটে ঢুকলেন নিজের বাড়ি। উপস্থিত সকলেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন।
ডেভিড বার্টেন নামে ৪৫ বছর বয়সি ‘মৃত’ ওই ব্যক্তি বেলজিয়ামের বাসিন্দা। ডেভিড পেশায় সমাজমাধ্যমের প্রভাবী। ডেভিডের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই তাঁর বাবা-মায়ের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলছিল। ডেভিডের মনে হচ্ছিল পরিবারের কাছে তিনি ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন। সেই জন্য তিনি এমন কিছু একটা করতে চাইছিলেন, যাতে সকলে তাঁর অভাবটা বুঝতে পারেন। সে কারণে মারা যাওয়ার নাটকটি করেছিলেন বলে নিজেই জানান ডেভিড।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে বন্ধুকে দিয়ে খবর রটিয়ে দেন। ডেভিডের এই মিথ্যা মৃত্যুর খবর বাড়িতে এসেও পৌঁছয়। ডেভিডের বন্ধুরা পরিবারকে জানান, পথ দুর্ঘটনায় দেহ একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। চেনার উপায় নেই। তাই দ্রুত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে।
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন বাবা-মা। পরিবারের অন্যরাও ভেঙে প়ড়েন। তবু নিয়মরক্ষা করতে আয়োজন করা হয় শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের। নিয়মরীতি মেনে শ্রাদ্ধের কাজ যখন শেষের পথে, তখনই সশরীরে সেখানে উপস্থিত হন ডেভিড। তিনি সকলকে ভয় পেতে বারণ করেন। গোটা ঘটনাই যে সাজানো, সেটা সকলকে বলেন ডেভিড। প্রথম থেকে পুরো ঘটনাটি ভিডিও করা হয়। সেই ভিডিও দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে। কয়েক মুহূর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। তবে যে উদ্দেশ্যে এত কিছু করলেন ডেভিড, তা পূরণ হল কি না, সে কথা অবশ্য জানা যায়নি।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]