শ্বেতাদ্রোণ বা ধুলফি হল লিউকাস গণের লামিয়াসি পরিবারের একটি প্রজাতি। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে এটি জন্মে, বিভিন্ন নামে পরিচিত। তবুও এটি ইংরেজি থুম্বাই নামে অধিক পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Leucas aspera।
শ্বেতদ্রোণ বিরুত জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ। এদের কচি পাতা ও কাণ্ড শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই শাকের বিভিন্ন নাম আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে এমনিতেই জন্মানো এই শাক চাষ করার কোনো ঘটনা জানা যায় না। শ্বেতদ্রোণ বা দণ্ডকলস মাটি থেকে সাধারণত একহাত পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। সাধারণত এই গাছের পাতা গাঢ় সবুজ রঙের এবং কান্ড হালকা সবুজ রঙের হয়ে থাকে। সাধারণত পরিপক্ক গাছে ধবধবে সাদা রঙের ফুল হয়ে থাকে এবং ফুলের মধু মিষ্টি হয়ে থাকে। ফুল থেকে সবুজ রঙের ফল হয় এবং এই ফল পাকলে ফলের ভেতরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কালো রঙের বীজ হয়ে থাকে। বীজের বংশবৃদ্ধি ঘটে। প্রচুর বীজ হয়। এর নানা ধরনের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। এখন এর ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে জানব।
কফ কাশিতে :
কফ কাশি হলে এই গাছের পাতার রস ও থানকুনি পাতার রস এক সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কৃমি হলে :
কৃমি হলে এই গাছের পাতার রস অল্প লবণ মিশিয়ে খেলে কৃমি নাশ হয় ।
আমাশয় রোগ হলে :
আমাশয় রোগ খুব ক্ষতিকর। আমাশয় হলে এর পাতা নিয়ে গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে খেলে আমাশয় রোগ ভালো হয়।
কমলা রোগে :
কমলা রোগ হলে প্রতিদিন এই পাতার রস খেলে ভালো হয়ে যায়।
শোথ ভালো করতে :
শ্বেতদ্রোণ পাতার রস গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে শোথ ভালো হয়ে যায়।
চুলকানি ও চর্মরোগ :
শ্বেতদ্রোণ পাতা বেটে সেই রস সারাদেহ ভালো মাখলে চুলকানি ও চর্মরোগ ভালো হয়।
বিবার্তা/অনামিকা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]