অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১১
অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সুযোগ ছিল নিজেদের ভাগ্যটা নিজেরাই লেখার; হাতে ছিল দুই ম্যাচ; ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা পাকিস্তান– দুই দলের যে কারো বিপক্ষে জিতলেই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারত টাইগ্রেসরা। তার একটিও হলো না। দুটিতেই হেরে এখন পুরোপুরি অনিশ্চয়তায় বিশ্বকাপ স্বপ্ন।


ক্যারিবিয়ান মেয়েদের কাছে ৩ উইকেটে হারের পর আজ পাকিস্তানের মেয়েদের কাছে হার এসেছে ৭ উইকেটে। লাহোরে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে তোলে ১৭৮ রান। জবাবে মুনিয়া আলী এবং আলিয়া রিয়াজের জোড়া অর্ধশতক পাকিস্তানকে এনে দিয়েছে সহজ জয়। ৬২ বল হাতে রেখেই জয় তুলেছে স্বাগতিকরা।


পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের নেট রানরেট নেমে এসেছে ০.৬৪–এ। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানরেট এখন -০.২৮। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান নারীরা যদি বড় ব্যবধানে জয় না পায়, তবেই কেবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশের মেয়েরা।


অথচ বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল অনেকটা নির্ভার থেকেই বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করার। পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য তেমন কোনো ভাল পারফরম্যান্সই আসেনি। ব্যাটিং ইউনিটে শুরুর প্রত্যেকেই ছিলেন ব্যর্থ। শারমিন আক্তারের ২৪ আর রিতু মনির ৪৮ রান কিছুটা অন্তত ভরসা দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে উপরে উঠে আসা নাহিদা করেছেন ১৯ রান।


শেষদিকে ফাহিমার দায়িত্বশীল ৪৪ রান বাংলাদেশকে পার করায় ১৫০ রানের কোটা। তবে তাকে আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় ১৭৯ রানেই থামে বাংলাদেশের মেয়েদের ইনিংস।


ব্যাট হাতে ব্যর্থতার গল্পটা লিখেছিলেন। আর সেটারই যেন পূর্ণতা দেয়ার প্রচেষ্টায় বোলিং এবং ফিল্ডিং ইউনিট। একের পর এক ক্যাচ ছেড়েছেন ফিল্ডাররা। বোলাররাও পারেননি প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে। পাকিস্তানকে শুরুতেই অস্বস্তিতে ফেলে দেন বাংলাদেশের পেসার মারুফা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাওয়াল জুলফিকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর আর কোনোভাবেই ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি বোলিং ইউনিট। দ্বিতীয় উইকেটে সিদরা আমিন এবং মুনিবা আলী মিলে যোগ করেন ৮০ রান।


বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি ব্যবহার করেছেন ৬ বোলার। তবে সাফল্য আসতে সময় লেগেছে ১৭ ওভার পর্যন্ত। পানি বিরতির পর প্রথম বলেই রাবেয়া খানের বলে সুইপ করতে গিয়ে দিলারার হাতে ক্যাচ দেন সিদরা।


আলিয়া রিয়াজ ক্রিজে এসে যোগ দেন মুনিবার সঙ্গে আরেকটা বড় পার্টনারশিপ গড়ার কাজে। ৩য় উইকেটে মুনিবা-আলিয়ার জুটি থেকে এসেছে ৭৪ রান। দলীয় ১৫৬ রানে মুনিবা যখন ৬৩ রানে আউট হন, পাকিস্তানের জয় তখন সময়ের ব্যাপার।


শেষ পর্যন্ত ৬২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে তারা। মুনিবা আলীর পর ফিফটি করেছেন আলিয়া রিয়াজ নিজেও। ৫ ম্যাচের প্রতিটি জয় করে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শিরোপা নিশ্চিত করেছে ফাতিমা সানার দল। সেইসঙ্গে নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপেও নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে তারুণ্যনির্ভর দলটি।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com