
দারুণ ক্রিকেট খেলে সুপার এইটে আসা যুক্তরাষ্ট্র আরও একবার দেখিয়ে দিলো, হারার আগেই হারতে রাজি নয় তারা। লক্ষ্য ছিল ১৯৫ রানের। দক্ষিণ আফ্রিকার যে বোলিং লাইনআপ, ইনিংসের অর্ধেক যেতেই যুক্তরাষ্ট্র হেরে গেছে অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন তেমনটা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজকরা সুপার এইটপর্বের প্রথম ম্যাচে দারুণ লড়াই অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ১৮ রানে।
অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে ম্যাচটা অনেকটাই ক্লোজ করে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ ২ ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৮ রান। কাগিসো রাবাদা ১৯তম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নিলে হাফ ছেড়ে বাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যানরিখ নরকিয়ার শেষ ওভারে ৭ রানের বেশি নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র রান তাড়ার কাছাকাছি চলে এসেছিল মূলত ষষ্ঠ উইকেটে হারমিত সিং আর আন্দ্রেস গুসের জুটিতে। ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪৩ বলে ৯১ রান যোগ করে দেন তারা।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে হারমিতকে (২২ বলে ৩৮) ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন। গুস আর একা ম্যাচ বের করতে পারেননি। ৪৭ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনিং এই ব্যাটার।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছিল প্রোটিয়ারা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রিজা হেন্ডরিক্সের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ১৬ রানের মাথায় পেসার নেত্রাভাকারের বলে কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হেন্ডরিক্স। ১১ রান করেন তিনি।
তবে এরপরই কুইন্টন ডি কক এবং এইডেন মার্করাম মিলে ১১০ রানের বিশাল জুটি গড়ে বড় স্কোরের ভিত তৈরি করে দেন। ৩২ বলে ৪৬ রান করেন মার্করাম। ৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
ডেভিড মিলার মাঠে নেমেই আউট হয়ে যান। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। শেষ দিকে হেনরিক ক্লাসেন এবং ত্রিস্টান স্টাবস অপরাজিত ৫৩ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তোলেন। ২২ বলে ৩৬ রানে ক্লাসেন এবং ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]