
ফিওরেন্তিনার কপাল পোড়ার দিনে ইতিহাস গড়েছে অলিম্পিয়াকোস। ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে ফিওরেন্তিনাকে ১-০ গোলে পরাজিত করে অলিম্পিয়াকোস প্রথম গ্রিক ক্লাব হয়ে ইউরোপীয় শিরোপা জিতেছে।
গেলবারই ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হ্যামের কাছে ৯০ মিনিটে গোল খেয়ে কনফারেন্স কাপের শিরোপার খুব কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল ফিওরেন্তিনাকে। এবার অলিম্পিয়াকোসের কাছে ৯০ মিনিটের বাঁধা পেরোলেও আটকে যেতে হয় ১১৬ মিনিটে। গ্রিক ক্লাবটির মরোক্কান স্ট্রাইকার আইয়ুব এল কাবির গোলে স্মরণীয় জয় তুলে নেয় অলিম্পিয়াকোস।
অলিম্পিয়াকোস প্রথম গ্রিক ক্লাব হিসেবে তারা পেয়েছে ইউরোপিয়ান শিরোপার দেখা। সেটাও নিজেদের প্রবল প্রতিপক্ষ এইকে এথেন্সের মাঠে। এই উপলক্ষ্য এতটাই বড়, স্বয়ং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকোস মিতসোতাকিস টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অলিম্পিয়াকোসকে।
প্যানাথিনাইকোস গ্রিসের অপেক্ষাকৃত পরিচিত দল। দেশটির ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপিয়ান অঙ্গনে তাদের আনাগোণাই ছিল সবচেয়ে বেশি। ১৯৭১ সালে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে হেরেছিল প্যানাথিনাইকোস। সেবার ইয়োহান ক্রুইফের আয়াক্সের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। আর গ্রিসের সবচেয়ে সফল ক্লাব হয়ে অলিম্পিয়াকোস আগে কখনো ফাইনালেই ওঠেনি। সেই হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।
সেভিয়ার হয়ে গত মৌসুমেই ইউরোপা লিগ জিতেছেন অলিম্পিয়াকোস কোচ লুইস মেন্দিলিবার। গত ফেব্রুয়ারিতে স্প্যানিশ ক্লাবটির দায়িত্ব ছেড়ে যোগ দেন গ্রিসের এই ক্লাবে। এবার এখানেও জিতলেন শিরোপা। স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত এই কোচ, ‘আমি খুব খুশি। কারণ, ক্লাব এমন কিছু জিতেছে, যা আগে কখনো জেতা হয়নি। আমরা উপভোগ করব। আনন্দ করব।’
পুরো ম্যাচে অবশ্য একাধিকবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ফিওরেন্তিনার। ইতালিয়ান ক্লাবটি ৮ মিনিটের মাথায় গোল করেও বসে। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপর খুব শক্ত কোনো সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি কোনো ক্লাবই। প্রথমার্ধে নিজেদের অপরিপক্বতার কারণেই বেশকিছু সুযোগ নষ্ট করেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
ম্যাচশেষে তাই প্রবল হতাশা ফুটে উঠেছে দলের কোচ ভিনচেঞ্জো ইতালিয়ানোর মুখে বলেছেন। যেন খুব কষ্ট করেই বললেন, ‘এবার আমরা সত্যিই আশা করেছিলাম। খারাপ লাগছে।’
কিন্তু রাতটা যেন লেখা ছিল শুধুমাত্র অলিম্পিয়াকোসের জন্য। নিজেদের দেশেই ফাইনাল খেলেছে তারা। শেষ বাঁশি বাজার পর ক্লাবের সমর্থকদের উত্তাল উদযাপনের দৃশ্য জন্ম দিয়েছে আলাদা মাত্রার। ২০০৪ সালের ইউরো জয়ের পর এটাকেই গ্রিক ফুটবলের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা বলেও মন্তব্য অনেকেরই।
অলিম্পিয়াকোসের সাফল্যের আগে, প্যানাথিনাইকোসই ছিল গ্রীসের একমাত্র ক্লাব যারা ইউরোপিয়ান ফাইনালে উঠেছিল।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]