
কয়েকদিন বাদেই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণের টি-২০ বিশ্বকাপ। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল। র্যাঙ্কিংয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হেরে পুড়েছে লজ্জায়। স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রতি বিশ্বকাপে প্রত্যাশা কিছুটা কমে এসেছে। তবুও ক্রিকেট নিয়ে এদেশের লোকজনের আগ্রহে ঘাটতি নেই। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বিশেষ কিছুর আশায়ই থাকবেন তারা।
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য হতে পারে একটা যুগের সমাপ্তি। কারণ সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ এটি। এমন এক টুর্নামেন্টের আগে তাদের কাছ থেকে ভক্তদের প্রত্যাশাও কম নয়। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সমালোচকদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু। তিনি জানালেন, ক্রিকেটারদের কাছে আলাদা করে কোনো প্রত্যাশা নেই। নিজের ভূমিকাটুকু ঠিকভাবে পালন করতে পারলেই হবে। তবে তিনি বাড়তি কিছু চান দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে।
২৯ মে, বুধবার বিসিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা জানান শান্ত। এসময় সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, তাদের দলে থাকাটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। এই ধরনের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যখন দলের সঙ্গে থাকে, তখন তরুণদের কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেকেই আছে যারা প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপে খেলবে, তাদের জন্য এটা অনেক অনুপ্রেরণার। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
সাকিবের কাছে নিজের চাওয়া জানিয়ে শান্ত বলেন, আলাদা করে চাওয়ার কিছু নেই। প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছ থেকেই আমার সমান প্রত্যাশা। যার যে ভূমিকাগুলো থাকবে সেভাবেই যেন দলে অবদান রাখতে পারে, এটাই প্রধান চাওয়া। আলাদা করে বলতে গেলে, আমি চাইব সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা প্রতিটি ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন। বিগত বছরগুলোতে তিনি যেসব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, সেসবের ধারণা তরুণ ক্রিকেটারদের দিলে তারা উপকৃত হবেন। এমনিও এটা করেন তিনি। আলাদাভাবে প্রত্যাশা বললে, এটাই চাওয়া থাকবে তার কাছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আপলোড করা এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন শান্ত। এছাড়া আউটকাম বা ফলাফলে তিনি বিশ্বাস করেন না বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, তার কাছে প্রক্রিয়াটাই আসল।
শান্তর ভাষ্য, প্রতিটি ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে। আমরা যখন একটা বড় টুর্নামেন্টে খেলতে যাব, অবশ্যই বড় স্বপ্ন নিয়েই যাব। তবে আউটকাম (ফলাফল) নিয়ে চিন্তা করা আমি খুব একটা পছন্দ করি না। আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না, প্রস্তুতি ঠিক আছে কি না; এসব জায়গায় ঠিকভাবে কাজগুলো করতে পারলেই আমার মনে হয় ফলাফল আসবে।
ভালো সময়ে বাংলাদেশের সমর্থকরা ক্রিকেট নিয়ে আবেগে ভাসেন। তবে খারাপ সময়েও তাদের সমর্থন চান শান্ত, বিশ্বকাপের সময় এতটুকু চাইব, আল্লাহ না করুক, কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে যদি আমরা পড়ি, ওই সময়টায় যেন দলের পাশে থাকেন, দলকে সমর্থন করেন।
অধিনায়ক হিসেবে শান্তর প্রথম বিশ্বকাপ হয়ে থাকতে পারে খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর শেষ বিশ্বকাপ। যদিও কোনো ঘোষণা তারা দুজনের কেউ দেননি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এমন কিছুই। সাবেক দুই অধিনায়ক, দেশের ক্রিকেটের অভিজ্ঞ দুই সেনার জন্য বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করার প্রত্যয় বর্তমান অধিনায়কের।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]