
২০১৩ সালে ইতালিতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর ইতালি ছেড়ে ব্রাজিলে যাওয়ার পর ইতালির সর্বোচ্চ আদালত আহ্বান জানায় সেই ধর্ষণ মামলার কার্যকর অব্যাহত রাখতে। গত বুধবার (২০ মার্চ) ব্রাজিলের আদালত রায়ে জানানো হয়, রবিনহোকে ব্রাজিলে শাস্তি খাটতে হবে। এরপর বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৩ সালে ইতালির মিলানের এক নৈশ ক্লাবে আলবেনিয়ান এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছিল রবিনহোর বিরুদ্ধে। এরপরে ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন ইতালির আদালত। ইতালি থেকে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য দেশে অপরাধ করার পরে সেই দেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। তাতে দোষী হলেও মুক্তভাবে নিজ দেশে ঘুরে বেড়াতে পারছেন রবিনহো।
তবে ২০২২ সালে এই শাস্তি অনুমোদন করে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি। ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রবিনহোর শাস্তি যেন ব্রাজিলেই কার্যকর করা হয়। সেটারই চূড়ান্ত রায় আসে বুধবার।
রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না রবিনহো। তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন রবিনহোর আইনজীবী জোসে আল্কমিন। রবিনহো শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। সম্প্রতি ব্রাজিলের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক টিভি রেকর্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৪০ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার জানিয়েছেন, ওই নারীর সঙ্গে সবকিছু পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি ইতালির বিচারিক ব্যবস্থাকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন।
সান্তোসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল শহরের ফেডারেল পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রবসন ডি সউজার (রবিনহো) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়েছে। আসামির শারীরিক পরীক্ষা করা হবে (মেডিকেল লিগ্যাল ইনস্টিটিউটে) এবং শুনানিও হবে। এরপর তাকে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে।’
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]